• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন

কেশসজ্জায় গহনা,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

কথায় আছে নারীর সৌন্দর্য তার চুলে। সেই সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে নারীর চেষ্টার কোনো শেষ নেই। বিভিন্ন উৎসব, আয়োজনে সকল সাজ পোশাকের সঙ্গে চুলকে সাজিয়ে তোলার জন্য থাকে বাহারি গহনার সমাহার। এসব গহনা নিয়ে লিখেছেন-

 

চুল বাধার ক্ষেত্রে বঙ্গ ললণার প্রথম পছন্দ খোঁপা। চুল যত লম্বা, খোপা ততই সুন্দর এবং বড় হবে। পছন্দ অনুযায়ী তাজা অথবা কৃত্রিম ফুল দিয়ে খোঁপা সাজানো যায়। এছাড়াও এখন বিভিন্ন ধরনের খোঁপার কাটা পাওয়া যায়, যেগুলোতে রঙিন পুতি বসানো থাকে। শাড়ি অথবা পোশাকের সঙ্গে পুতির রং মিলিয়ে খোঁপায় পরা যায়। অনেকে রুপার তৈরি কাটা দিয়েও খোঁপা করেন। জুডা পিন বা ক্লিপ যেকোনো অনুষঙ্গের সঙ্গে একটি চুলের খোঁপা ভালো মানায়, সোনালি বৃত্তাকার পিন বা চেন জুডা (খোঁপা)-র সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। জুডা ক্লিপগুলো আধা-বৃত্তাকার হয় এবং মাথার যেকোনো একপাশে সজ্জিত থাকে। বিনুনি হলো চুল বাঁধার আরেকটি জনপ্রিয় দেশীয় কায়দা। এতে আবার রয়েছে বিভিন্ন ধরন। সাধারণ বিনুনি, খেজুর কাটা বিনুনি, কলাবেনী ইত্যাদি। কেউ কেউ ছোট চুলে লম্বা বিনুনি করার জন্য ট্যাসেল বা কৃত্রিম চুলও ব্যবহার করেন। এছাড়াও চুলের গহনার মধ্যে আরও আছে বিনুনির জন্য বিল্লাই যেটির মধ্যে নয়টি রাউন্ড ক্লিপ সংশ্লিষ্ট থাকে। আর যেটি ওপর থেকে নিচে বিনুনির আকার অনুযায়ী অবরোহণ করে।

মাত্থা পাট্টি– সাধারণত দক্ষিণ ভারতে এটি বহুল প্রচলিত, এই মাত্থা পাট্টি একটি প্রথাগত চুলের ব্যান্ড, সাধারণত সোনা দিয়ে কারুকাজ করা থাকে। এটি কপালের ওপর দিয়ে সিঁথি কেটে চুল ভাগ করে মূল চেইনটিকে তার ওপর দিয়ে রাখা হয়। আর বাকিগুলো চারপাশ দিয়ে আটকানো হয়। এটি বিয়ের কনের শোভা বাড়ায়।

সিথির টিকলি- এটি একটি সংযুক্ত চেইনের অলঙ্কার। যার একটি প্রান্তে হুক থাকে এবং নিখুঁত রত্নখচিত পেনডেন্ট অন্য প্রান্তে সজ্জিত থাকে। সিঁথির টিকলি কপালের মাঝখানে থাকে। যা সিঁথি থেকে চেইনের সাহায্যে কপালের অগ্রভাগ পর্যন্ত নেমে আসে।

টায়রা- টায়রা টিকলির মতোই সিঁথিতে পরার একটি গহনা। কিন্তু এটির ঝুল এটিকে টিকলি থেকে আলাদা করে। টায়রার একপাশে অথবা দুই পাশে লম্বা ঝুল থাকে যা কপাল থেকে শুরু করে পেছনে খোঁপার মাঝখান পর্যন্ত যায়।

ঝুমার- এটি ফ্যান-আকৃতির চুলের আনুষঙ্গিক। যা ঝাড়বাতির মতো দেখতে এবং মাথার বাম দিকে এটি লাগানো হয়। এটি সাধারণত সোনা দিয়ে তৈরি এবং বেশিরভাগ সময় সিঁথির টিকলির সঙ্গে সাজানো হয়। ঝুমারকে পাসাও বলা হয়। এটি ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে চুলে পরার আদর্শ একটি গহনা।

মেয়েরা যেকোনো উৎসব বা আয়োজনকে ঘিরে নিজেকে বিভিন্নভাবে নতুন নতুন রূপে সাজিয়ে তোলে। পোশাক এবং অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে তাদের চুলকে সাজিয়ে তোলায় যত্নের কমতি থাকে না। এসব চুলের গহনা রুপা অথবা অন্যান্য ধাতু দিয়ে বানিয়ে নেয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের জুয়েলারি সেকশন থেকে বিভিন্ন রং এবং নকশাযুক্ত এসব চুলের গহনা সহজেই নিজের পছন্দমতো বেছে নিতে পারেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ