দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আগ্রহী প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল ছাড়াও চাইলে মহাজোটের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
জানতে চাইলে দলের মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের চিঠি আমি ইসিতে পৌঁছে দিয়েছি। কেউ চাইলে জোটের প্রতীকও ব্যবহার করতে পারবেন। দলের মনোনয়ন কে দেবেন না দেবেন সেটা বিষয় নয়।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে লেখা চিঠিতে রওশন জানান, ‘জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এটা হবে শুধুমাত্র নির্বাচনি জোট। নির্বাচন শেষে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙ্গল, কিংবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।’
এদিকে জাপার প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ক্ষমতাপ্রাপ্ত এ ব্যক্তির নাম পদবী ও নমুনা সই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়ে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘ভোটকে সামনে রেখে এ সংক্রান্ত ফর্মালিটিজ জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে দেওয়া চিঠিতে জাপার মহাসচিব জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে আরপিও এর আর্টিকেল ১২ (৩ এ) (বি) এবং ১৬-এর (২)(৩) অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র থাকবে যে, ওই প্রার্থীকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যয়ন পত্রটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে জমা দিতে হবে।
প্রার্থী মনোনয়নে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নাম, পদবী, সত্যায়িত নমুনা স্বাক্ষর তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। আর এর অনুলিপি দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে প্রার্থী মনোনয়নকারী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন বা তার পূর্বে রিটার্নিং অফিসারকে কোনও প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং ওই দলের অন্যান্য প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।