• শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

সিনেমার ফেরিওয়ালা ছিলেন তিনি,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে সিনেমার প্রতি ভালোবাসা থেকে স্ট্রাগলের পথ বেছে নিয়েছিলেন। জীবনের রং, গল্প জেনে বুঝে সিনেমা নির্মাণ করতেন।

আবার নিজের বানানো সিনেমা দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে কাদা-মাটি-জল ডিঙিয়ে হেঁটেছেন বহুদূর। তিনি শুধু একজন সিনেমার কারিগরই নন, সিনেমার ফেরিওয়ালাও ছিলেন। বলছি প্রয়াত নির্মাতা তারেক মাসুদের কথা।
অকাল প্রয়াত এই চলচ্চিত্রকারের ৬৭তম জন্মদিন বুধবার (০৬ ডিসেম্বর)। ১৯৫৬ সালের আজকের এই দিনে ফরিদপুরের ভাঙ্গার নুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তারেক মাসুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার পরই তিনি চলচ্চিত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। দেশে তিনিই প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আন্দোলনের সূচনা করেন।

তারেক মাসুদ ১৯৮২ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স শেষ করে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে নিয়ে ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আদম সুরত’ নামের প্রামাণ্যচিত্র।

এরপর বেশ কিছু ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেশন ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ১৯৯৫ সালে তার নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ ও ১৯৯৬ সালে ‘মুক্তির কথা’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হয়।

তারেক মাসুদ ২০০২ সালে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’ নির্মাণ করেন। এটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবসহ কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সিনেমাটির জন্য কানে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট লাভ করেন এই নির্মাতা।

‘মাটির ময়না’ সিনেমাটির জন্য ২৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকারের পুরস্কার লাভ করেন তারেক মাসুদ। এছাড়া অস্কারের বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র শাখায় নিবেদন করা দ্বিতীয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এটি। এর আগে ‘জাগো হুয়া সাভেরা’ নামের সিনেমা অস্কারে প্রদর্শিত হয়।

এরপর তার পরবর্তী সিনেমা ‘অন্তর্যাত্রা’ (২০০৬) ও ‘রানওয়ে’ (২০১০) সালে মুক্তি পায়। তারেক মাসুদ আমৃত্যু সিনেমা দিয়ে মানুষের মধ্যে আলো ছড়িয়ে গেছেন।

প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের জোকায় এক ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিজের কর্মে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তারেক মাসুদকে (মরণোত্তর) একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ