বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অভিভাবকহীন শিশু রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। রাখাইনে তারা তাদের বাবা-মায়ের একজন অথবা উভয়কেই হারিয়েছে।
এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার মাত্রাকে নতুন করে সামনে নিয়ে এলো।
এএফপিকে বাংলাদেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রীতম কুমার চেৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১৩ হাজার ৭৫১টি রোহিঙ্গা শিশু এসেছে।
তাদের (শিশুদের) বেশিরভাগই জানিয়েছে যে রাখাইনে সহিংসতায় তারা তাদের বাবা-মায়ের একজন অথবা উভয়কেই হারিয়েছে।
অন্যরা বলেছে, তাদের বাবা-মায়ের কী হয়েছে তা তারা জানে না। আত্মীয়দের সঙ্গে তারা বাংলাদেশে এসেছে।
জাতিসংঘ বলছে, রাখাইনে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তা জাতিগত নিধনের পাঠ্যপুস্তকীয় দৃষ্টান্ত। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে বহু রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। চালানো হয়েছে হত্যাযজ্ঞ ও গণধর্ষণ।
বাংলাদেশে গত দেড় মাসে আশ্রয় নেয়া প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার শিশু। এদের এক-তৃতীয়াংশের বয়স ৫ বছরের নিচে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ২০০ একর জমিতে আশ্রয় কেন্দ্র বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রীতম কুমার বলেন, অভিভাবকহীন শিশুদের জন্য এতিমখানা বানাবে সরকার।
তাদের বাড়তি সুবিধা দেয়া হবে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, অভিভাবকহীন শিশুরা পাচারের শিকার হতে পারে।