পাকিস্তানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ফলে দু’দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনার মধ্যে ভারত তার অবস্থান প্রকাশ করেছে। ঘটনাটিকে দু’দেশের পারস্পরিক বিষয় হিসেবে অভিহিত করলেও পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়িয়ে একইসাথে ওই বিবৃতিতে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ‘আত্মরক্ষায় কোনো দেশকে কখন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, সেটা আমরা বুঝি৷’
এই বার্তার মধ্যে দিয়ে আসলে ভারত নাম না করেই কার্যত পাকিস্তানকে দোষী করেছে বলে অনেকে মনে করছে৷ কারণ ইরানেরও অভিযোগ, পাকিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই বালোচ অস্ত্রধারীরা একাধিকবার তাদের দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে জৈশ আল-অদল গ্রুপের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইরান৷ এই হামলার পর পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ইরানকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান৷ ইরানের রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার৷ তেহরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকেও ফিরিয়ে এনেছে ইসলামাবাদ৷
স্বভাবতই এই ঘটনার পর দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে৷ সংবাদসংস্থা এএফপি-র রিপোর্টে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, অতীতে অনেকবার পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসীদের’ মদত বা আশ্রয় না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল ইরান৷ তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পথে হাঁটে তেহরান৷
ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণভাবে ইরান এবং পাকিস্তানের বিষয়৷ ভারত বরাবরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনোরকম আপস করে না৷ আমরা বুঝতে পারি যে আত্মরক্ষার তাগিদেই অনেক দেশকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়৷
পাকিস্তানে হামলা চালানোর ঠিক আগের দিন অবশ্য একইভাবে সিরিয়া এবং ইরাকেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান৷ পাকিস্তান দাবি করেছে, ইরানের এই হামলায় দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিবৃতি দিয়ে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপরে এই আঘাতের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং এর ভবিষ্যৎ পরিণতির যাবতীয় দায় যে তেহরানের, সেকথাও জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷
সূত্র : নিউজ১৮