ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটার পরিচালনা পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রযুক্তি খাতের প্রভাবশালী নারী ব্যক্তিত্ব শেরিল স্যান্ডবার্গ।
তিনি ফেসবুকের মূল কোম্পানিটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) বা প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এক ফেসবুক পোস্টে স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞচিত্তে আর স্মৃতিভারাক্রান্ত হৃদয়ে মেটার পরিচালনা পর্ষদকে জানিয়েছি, আমি আগামী মে মাসে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হতে আগ্রহী নই।’
মেটার ভবিষ্যৎ দৃঢ় অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করে শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘মার্কের (মার্ক জাকারবার্গ) নেতৃত্বে তৈরি দল সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেছে যে মেটার ব্যবসা শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে। এ দলে রয়েছেন জাভি অলিভান, জাস্টিন ওসফস্কি, নিকোলা মেন্ডেলসোন। এ দলের নেতৃত্বে ভবিষ্যতেও মেটা ভালো অবস্থানে থাকবে। তাই বোর্ড থেকে সরে যাওয়ার এটাই সঠিক সময় বলে মনে হচ্ছে।’
২০০৮ সালে গুগল ছেড়ে ফেসবুকে যোগ দেন স্যান্ডবার্গ। ১৪ বছর ধরে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ফেসবুক ও মেটার অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন ব্যবসার স্থপতি বলা হয় শেরিল স্যান্ডবার্গকে। তার কারণেই ফেসবুকের বিজ্ঞাপনী আয় বাড়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
তার লেখা বই ‘উইমেন, ওয়ার্ক অ্যান্ড দা উইল টু লিড’ নারীবাদী ইশতেহার হিসেবে পরিচিত। এই বইয়ের জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন।
তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মেটার সমালোচনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকেন্দ্রিক ভুল তথ্য প্রচার, ২০১৮ সালের ক্যামব্রিজ অ্যানালাইটিকার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনা ও ২০২১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে হামলা।
পরিচালনা পর্ষদ ছাড়লেও তিনি কোম্পানির অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়।
১৪ বছর ধরে ফেসবুক ও মেটার সিওও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্যান্ডবার্গ। তিনি টানা ১২ বছর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। একে জীবনের ‘বিশেষ সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।