গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ধ্বংস করা কিংবা গাজা থেকে বন্দীদের উদ্ধার করার কোনোটাই সম্ভব নয় বলে চার সিনিয়র ইসরাইলি কমান্ডার জানিয়েছেন। শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা এ তথ্য জানান।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওইসব কমান্ডার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, এটা তাদের ব্যক্তিগত অভিমত। আর এমন অভিমত প্রকাশ্যে বলার কোনো অনুমতি তাদের নেই।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) ওই চার সিনিয়র কমান্ডার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, হামাসকে পুরোপুরি বিধ্বস্ত করার জন্য যে যুদ্ধের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে আটক থাকা ইসরাইলি বন্দীদের জীবন চলে যেতে পারে।
আর যুদ্ধের পর কী হবে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলি রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা থাকায় কৌশলগত জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই চার সিনিয়র ইসরাইলি কমান্ডার বলেন, গাজায় যুদ্ধপরবর্তী দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা না থাকায় হামাসের হাতে থাকা গাজার অবশিষ্ট অংশ কিভাবে দখল করা হবে সে ব্যাপারে স্বল্প মেয়াদি কৌশলগত সিদ্ধঅন্ত নেয়া কঠিন।
ওই চার কমান্ডারের তিনজন বলেন, যুদ্ধপরবর্তী নিশ্চয়তা ছাড়া ইসরাইলের অভিযানে নিজেকে জড়াতে আগ্রহী নয় মিসর।
ওই কমান্ডাররা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে যুদ্ধের কারণে বৈদেশিক সম্পর্কে অবনতির কারণেও ইসরাইলকে নিরাপদ রাখা এবং পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ বহাল রাখার সক্ষমতায় প্রভাব ফেলবে।
কমান্ডারদের তিনজন বলেন, এখনো গাজায় বন্দী থাকা ইসরাইলিদের প্রত্যাবর্তনের সবচেয়ে দ্রুত পথ হতে পারে কূটনৈতিক পন্থা।
তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে আরো বলেন, হামাসের সামরিক কাঠামো যতটুকু ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে আধুনিক। তারা বলেন, হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক আগে যতটুকু ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে প্রায় চারগুণ বড়।
তারা আরো বলেন, বন্দীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হলে টানেল নেটওয়ার্কে তাদের মৃত্যু হতে পারে।