• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

বগুড়ার ‘বাঙালী’ নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ

আপডেটঃ : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭

বগুড়ার ধুনট উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ‘বাঙালী’ নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিত ও আইন বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাজশাহী বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) দ্রুত এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন। এছাড়া ‘বাঙালী’ নদীতে অবস্থিত বাথুয়াবাড়ি বালুমহালকে বগুড়া জেলার বালুমহালের তালিকা থেকে কেন বাদ দেয়া এবং উক্ত নদীকে আইন বহির্ভূত ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন থেকে রক্ষার নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও নদী তীরবর্তী কৃষিজমি, বাড়িঘর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ক্ষতি সাধনের দায়ে ইজারাদারের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ কেন আদায় করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
বগুড়ার ধুনট উপজেলাধীন ‘বাঙালী’ নদী  সংলগ্ন এলাকার পূর্ব-পশ্চিম পাশে বাথুয়াবাড়ি, বিলকাজুলী ও শাকদহ গ্রাম অবস্থিত। উল্লেখিত এলাকার ১১ একর জায়গা জুড়ে “বাথুয়াবাড়ি” বালুমহাল থেকে বিলকাজুলী ও শাকদহ মৌজায় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভারী যান্ত্রিক মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসাথে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলনের ফলে উল্লেখিত তিনটি গ্রামের নদী সংলগ্ন কৃষিজমি, বসতবাড়ি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বিলিন হয়ে গেছে এলাকার একমাত্র শ্মশান ঘাটটিও। এসব বিষয় আবেদনে উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট করেন বেলার আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ