পাঁচটি আবর দেশ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করার বিনিময়ে ইসরাইলকে সৌদি আরবের স্বীকৃতির প্রস্তাব দিয়েছে। সোমবার এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
পত্রিকাটি জানায়, প্রস্তাবটি যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সৌদি ও মিসরীয় সূত্রের মতে, প্রস্তাবটি এখন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার প্রত্যাখ্যান করেছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্তটির ব্যাপারে আপত্তি করে আসছে ইসরাইল।
প্রস্তাবে বলা হয় যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা মেনে নিলে ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হতে পারে।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে সোমবার দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান প্রত্যাখান করার পর তাদের মধ্যে এ আলোচনা হতে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জোর দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। এটি ‘বাইরে থেকে চাপ দিয়ে বাস্তবায়ন করেতে হবে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল ভূখ-ে হামাসের আকস্মিক নজিরবিহীন হামলা এবং হামাসের বিরুদ্ধে তেল আবিবের পাল্টা হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন করে অস্থিরতার মুখে ফেলে দিয়েছে এবং এতে সেখানে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কিন্তু যখন এ রক্তপাত ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানকে আবারো দৃষ্টির বাইরে নিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে, তখন ইইউ কর্মকর্তারা জোর দিচ্ছেন যে- এখনই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধানের বিষয়ে কথা বলার সময়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা প্রথমে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজের সাথে সাক্ষাত করবেন। পরে তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কূটনীতিক রিয়াদ আল-মালিকির সাথে আলাদাভাবে আলোচনা করবেন।
কাটজ এবং মালিকি একে অপরের সাথে সাক্ষাত করবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিসর, জর্দান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও ইউরোপীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।