জর্ডান, ইরাক ও সিরিয়ার যৌথ সীমান্তের কাছে একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর বেশ কয়েকজন মার্কিন সিনেটর ইরানের ওপর সরাসরি হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টেক্সাসের সিনেটর জন কর্নিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘টার্গেট তেহরান’। তিনি পরে স্পষ্ট করেছেন যে- তিনি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসে) -এর উপর হামলার কথা বুঝাচ্ছেন এবং এটি হবে ‘যুদ্ধ নয়, প্রতিরোধের বিষয়ে’।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ‘প্রতিরোধের’ উদ্দেশে ‘ইরানের অভ্যন্তরে তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার‘ আহ্বান জানিয়েছেন।
আরকানসাসের টম কটন বলেছেন যে- তিনি ‘ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সামরিক প্রতিশোধ’ দেখতে চান।
আইওয়ার সিনেটর চক গ্রাসলি এক্স-এ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি শেষ পর্যন্ত ইরানের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবেন?’
মিসিসিপির রজার উইকারও ‘ইরানের লক্ষ্যবস্তু এবং এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জর্ডান, ইরাক ও সিরিয়ার যৌথ সীমান্তের কাছে একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত ও অপর ৩৪ জন আহত হয়েছে। গতকাল (রোববার) ওই হামলা চালানো হয় এবং এর ফলে অক্টোবরের শুরুতে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে কোনো মার্কিন সেনা নিহত হলো।
প্রাথমিকভাবে হামলাটি জর্ডানে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হয়েছে বলে আমেরিকার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হলেও রোববার রাতে আম্মান সরকার জানায়, ঘাঁটিটি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ায় অবস্থিত। মার্কিন সরকার জাতিসঙ্ঘের ম্যান্ডেট বা দামেস্কের অনুমতি ছাড়াই সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে সিরিয়ায় অবৈধভাবে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন রোববার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই ড্রোন হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, জর্ডানের সীমন্তবর্তী সিরিয়ার আল-তানাফ ঘাঁটিতে তারা ওই হামলা চালিয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা