যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের উঠার রাস্তাটা বেশ কঠিনই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য। তবে সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে যুবা টাইগাররা।
ব্লমফন্টেইনে মাত্র ১৬৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেপাল। সেই রান বাংলাদেশ পাড়ি দিয়েছে ১৪৮ বল হাতে রেখে। ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ করে দেন বোলাররা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯ রানেই ৩ উইকেট হারায় নেপাল। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা চতুর্থ ওভারে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পর বর্ষণ ও ইকবাল হোসেনও উইকেট উত্সবে যোগ দিলে শুরুতে ব্যাকফুটে চলে যায় নেপাল। চতুর্থ উইকেটে দেব খানাল ও বিশাল বিক্রমের ৬২ রানের জুটিতে খানিকটা ঘুরেও দাঁড়ায় তারা।
অধিনায়ক খানালকে ফিরিয়ে জিসান ইসলাম জুটিটা ভাঙার পর বর্ষণ ও পারভেজের বোলিং তোপে দেড় শ পেরিয়ে অল আউট হয়ে যায় নেপালের যুবারা। সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে বিশালের ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩৫ রান করেন খানাল। বাংলাদেশের হয়ে ১৯ রান খরচে ৪ উইকেট নেন বর্ষণ। এছাড়া পারভেজ ৩, মারুফ, ইকবাল ও জিশানের শিকার একটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় ১১.৪ ওভারে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন আশিকুর রহমান এবং জিসান ইসলাম। ১৬ রানে আশিকুর আউট হলেও ২টি ছক্কা এবং ৬টি চারে ৫৫ রানের ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করেন জিসান। মাঝখানে কিছু উইকেট হারালেও বাংলাদেশের রানের গতি কমেনি। জিসান চলে যাওয়ার পর তার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন আরিফুল। ৩৮ বলে ২ ছক্কা ও ৭ চারে অপরাজিত ৫৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। নেপালের সুবাশ বন্দরি একাই ৫ উইকেট শিকার করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে বাংলাদেশ। আগামী শনিবার সুপার সিক্সে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে জিততে হবে বড় ব্যবধানে। কেননা ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে এক পা দিয়েই রেখেছে পাকিস্তান।