শুক্রবার থেকে বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। শীত উপেক্ষা করে বুধবার দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মানুষকে ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত খিত্তায় এসে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এসেছেন বিদেশিরাও।
বুধবার সন্ধ্যার আগেই ইজতেমা ময়দান প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। হালকা বৃষ্টির কারণে গত রাতে মুসল্লিদের সাময়িক অসুবিধা হলেও এখন তা কেটে গেছে। তাবলিগের ৬ মূলনীতির আলোকে ইজতেমার মূল প্যান্ডেল থেকে অনানুষ্ঠানিক বয়ানও চলছে। আজ ফজরের নামাজের পরে বয়ান করেছেন তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট।
কহরদরিয়া খ্যাত তুরাগ নদীর তীরে প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে। শেষ হয়েছে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি। ময়দানে মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদে ৫টি এবং বিআইডব্লিউটিএ ১টি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছে। চট স্বল্পতার কারণে এবার অধিকাংশ খিত্তার শামিয়ানা বিভিন্ন জেলার তাবলিগের সাথীরা নিজ নিজ দায়িত্বে টানিয়েছেন।
ইজতেমা ময়দানের মাইকের জিম্মাদার প্রকৌশলী আশরাফ আলী জানান, মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় ২শ বিশেষ ছাতা মাইক, ৫০টি ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইকসহ প্রায় আড়াইশটি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যোবায়ের পন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের নেতৃত্বে থাকছেন সাদপন্থীরা।