আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পাথুম নিশানকা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রেকর্ড গড়ে দুইশ’র্ধো রানের ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ওপেনার।
পাল্লেকেলেতে শুক্রবার আফগান বোলারদের তুলোধুনা করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৮১ রান করে শ্রীলঙ্কা। সেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ১৩৯ বলে ২০টি চার ও ৮টি ছক্কায় একাই অপরাজিত ২১০ রান করেছেন নিশানকা। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটার তিনিই।
২০০০ সালে শারজায় ভারতের বিপক্ষে ১৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। এতদিন সেটিই ছিল ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তাঁর ইনিংসটি নিশানকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় জয়াসুরিয়া মাঠেই ছিলেন। হাততালি দিয়ে তিনি অভিনন্দন জানান উত্তরসূরিকে।
নিশানকার আগের তিন সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল ১৩৭। নিজের পঞ্চাশতম ওয়ানডে ম্যাচে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন এই ওপেনার।
ওয়ানডে ইতিহাসের দশম ব্যাটার হিসেবে দ্বিশতক হাঁকালেন নিশানকা। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি ১২তম দ্বিশতক।
ওয়ানডেতে একাধিক দ্বিশতকের রেকর্ড কেবল রোহিত শর্মার (৩টি)। সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের ইনিংসও এই ভারতীয় ওপেনারের। সব মিলিয়ে নিশানকার ইনিংসটি যৌথভারে পঞ্চম সেরা। অপরাজিত ২১০ রানের ইনিংস আছে পাকিস্তানের ফখর জামানেরও।
শুরু থেকেই উত্তাল ছিল নিশানকার ব্যাট। ৩১ বলে পান প্রথম ফিফটির দেখা। ৮৮ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে। পরের ফিফটি আসে ২৮ বলে। শেষ ফিফটিতে যেতে খেলেন স্রেফ ২০ বল।
আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে প্রথমে গড়েন ১৮২ রানের ওপেনিং জুটি। দলীয় ২৭তম ওভারে ৮৮ বলে ৮টি চার ও ৩ ছক্কায় ৮৮ রান করে ফেরেন আভিষ্কা। অধিনায়ক কুসল মেন্ডিসের সাথে জুটির স্থায়ীত্ব ছিল ৫৪ বল আর ৪৩ রান।
তৃতীয় উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ৭১ বলে ১২০ রান যোগ করেন নিশানকা। সাদিরা আউট হন ৩৬ বলে ৪৪ রানে। চতুর্থ উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে আসে ১৭ বলে ৩৬ রান।