বাংলাদেশের গর্ব সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রসংগীতের অমিয় ধারায় নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি হাজারো শিক্ষার্থীর মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নিজের সংগীতলব্ধ জ্ঞান। পেলেন ভারতের বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক। এরই মধ্যে বাংলাদেশে বন্যাকে কয়েকটি সংগঠন নানাভাবে সংবর্ধনাও দিয়েছে এই পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষে।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগস্থ একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা’, স্মার্ট বাংলাদেশ পারফরমেন্স ও সম্মাননা প্রদানের।
‘টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ‘ট্রাবের সভাপতি সালাম মাহমুদ। এই আয়োজনেই সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আজীবন সম্মাননা তুলে দেবেন বন্যার হাতে। সালাম মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের গানের গর্ব শ্রদ্ধেয় বন্যা আপা ভারত থেকে পদ্মশ্রী পদক পেতে যাচ্ছেন এটা ভীষণ গর্বের বিষয়।
এ ছাড়া তিনি উপমহাদেশের অত্যন্ত গুণী একজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। তার কণ্ঠ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের খ্যাতি ছড়িয়েছে। তাকে আমরা তাই পরম শ্রদ্ধা নিয়ে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করতে যাচ্ছি। কলকাতা থেকে মোবাইলে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, হ্যাঁ, ২১ ফেব্রুয়ারি এই আয়োজনে আমি আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই যে কোনো পুরস্কার একজন শিল্পীর জন্য পরম আনন্দের, ভালো লাগার। যথারীতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন এই সম্মাননা আমি আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করব। ধন্যবাদ আয়োজকদের যারা আমাকে এই সম্মাননার জন্য নির্বাচন করেছেন।
১৯৫৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রংপুর জেলায় জন্ম নেওয়া রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রথমে ছায়ানট এবং পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। সেখানে শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন ও আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো সংগীতজ্ঞদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত এ শিল্পী। এদিকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানিয়েছেন ফেসবুকে তার নিজের কোনো আইডি বা পেজ নেই। আগামী ১৩ অথবা ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরবেন।