দুর্দান্ত ঢাকা যেন জিততেই ভুলে গেছে। টানা ১১ ম্যাচে হারের স্বাদ নিলো দলটি। ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তিন নম্বরে থাকা ফরচুন বরিশালের মতো এখন ১২ পয়েন্ট তাদের। শুভাগতর দল তালিকায় চার নম্বরে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬০ রান তাড়ায় ধীরগতিতে শুরু করে ঢাকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া শিকার করে দলটিকে আরও চাপে ফেলে দেন শুভাগতহোম। ৯ রানে ২ উইকেট হারায় ঢাকা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২৫ রান তুলতে পারে তাসকিনের দল।
অ্যালেক্স রস আর নাইম শেখ ৪৬ বলে ৫১ রানের ধীরগতির জুটিতে বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন। নাইমের ইনিংসটা ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ৩৫ বলে করেন ২৯ রান।
রস ৩৮ বলে ফিফটি করলেও এরপর চালিয়ে খেলতে পারেননি। ৪৪ বলে ৫৫ করে ফেরেন সাজঘরে। ততক্ষণে ম্যাচ বলতে গেলে শেষ, ১৮ বলে ঢাকার দরকার ৪২। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন আর ইরফান শুক্কুর পরাজয়ের ব্যবধানটুকুই যা কমিয়েছেন। মোসাদ্দেক ১৮ বলে ২৯ আর শুক্কুর ৮ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে ঢাকা।
এর আগে শুরুর চাপ সামলে তানজিদ হাসান তামিম আর টম ব্রুসের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
তানজিদ তামিম করেন ঝোড়ো এক ফিফটি। ৫১ বলে ৭০ রানের ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে এই বাঁহাতি হাঁকান ৬টি ছক্কা। তার ইনিংসে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৫৯ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। ২৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তামিম আর ব্রুস।
হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে ফেরেন ব্রুস। ৩৫ বলে ৪৮ করেন তিনি। তবে তামিম ফিফটি তুলে নেন মারমুখী খেলেই। ৭০ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হন তিনি।
ঢাকার শরিফুল আর তাসকিন আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। শরিফুল ৪ ওভারে মাত্র ১৭ দিলেও তাসকিন সমান ওভারে খরচ করেন ৩৮।