ইনিংসের শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকালেন। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না। যে কারণে একটি বলের আক্ষেপ করতেই পারেন তাওহিদ হৃদয়। ইনিংস শেষ করে ফেরার সময় তাকে দেখা মনে হয়েছে তাইই।
কিন্তু ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয়ের কণ্ঠে শোনা গেলো ভিন্ন সুর। ডানহাতি এই ব্যাটার জানিয়ে দিয়েছেন সেঞ্চুরি করে না পেরে তার কোনো আক্ষেপ নেই। দলের জন্য যা করতে পেরেছেন, তাতেই তিনি সন্তুষ্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার লঙ্কানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকানোর জন্য শেষ দুই ওভারে হৃদয়ের দরকার ছিল ২২ রান। যে কারণে তার সেঞ্চুরি করার ভালো সুযোগই ছিল। কিন্তু ৪৯তম ওভারের মাত্র ২টি বল খেলতে পেরেছেন হৃদয়। এর মধ্যে ১টি বলে চার হাঁকিয়েছেন তিনি আর একটি সিংগেল। আর বাকি ৪টি বল খেলেছেন তাসকিন আহমেদ।
শেষ ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকাতে হৃদয়ের দরকার ১৭ রান। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে একবারের জন্য প্রান্ত বদল করেন তিনি। ইনিংসের শেষ দুই বলে হাঁকান দুটি ছক্কা। ফলে তার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯৬।
৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৫টি ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন হৃদয়। প্রথম ফিফটি করেন ৭৪ বলে। পরের ৪৬ রান নিয়েছেন মাত্র ২৮ বলে।
সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় বলেন, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। সর্বশেষ ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গিয়েছি। আমার সব সময় পরিকল্পনা থাকে একটা শুরু যখন পেয়েছি, যতটুকু পারবো দিনটাতে যেন ক্যারি করতে পারি।’
‘মাথা যতটুকু কাজ করেছে, চেষ্টা করেছি খেলাটাকে শেষ করতে। যেহেতু ব্যাটসম্যান নাই, ব্যাটসম্যান থাকলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো। আমি ফিফটির পর, আসলে ফিফটির পর না, যখন দেখেছি একটু পরপর উইকেট যাচ্ছে, তখন লক্ষ্যই ছিল খেলাটা শেষ করবো। আমি সেট ব্যাটসম্যান, আমি খেলাটা শেষ করলে ভালো কিছু হবে।’-যোগ করেন তিনি।
হৃদয় মনে করেন, চট্টগ্রামের উইকেটে জয়ের জন্য এই রান (২৮৬) যথেষ্ঠ নয়। এখানে জয়ের জন্য ৩২০-৩৩০ রানের দরকার ছিল।
হৃদয় বলেন, ‘উইকেট ৩২০-৩৩০ রানের ছিল। আমরা থিতু হয়ে যদি ইনিংসটা ক্যারি করতাম, তাহলে হয়তো দৃশ্যপট ভিন্ন হতো।’
গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ৩ উইকেট আর ১৭ বল হাতে রেখে টপকে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। ফলে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরেছে।