ভারতের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায় গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের অধীনে (সিএএ) নাগরিকত্ব চাওয়া একজন পুরুষ ব্যক্তির ধর্ম নির্ধারণের জন্য সমাধান বাতলে দিয়ে চরম বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। নাগরিকত্ব দেয়ার আগে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষার দাবি তুললেন তিনি। এর আগেও কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে এই সংক্রান্ত পরামর্শও দিয়েছেন তথাগত রায়।
অবৈধভাবে ভারতে এসে বসবাস করা মুসলিমদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। এই পরিস্থিতিতে পুরুষদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষার পরামর্শ যে মুসলিমদের জন্য তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কারণ মুসলিম পুরুষদের পুরুষাঙ্গে সুন্নৎ করা থাকে। তথাগতর দাবি অনুযায়ী, এভাবে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা হলে মুসলিম পুরুষদের সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব। এবিষয়ে অবশ্য নারীদের তালিকা থেকে বাদ রেখেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, পুরুষদের পরিচয় চিহ্নিত করা গেলেই নারীদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া যেতে পারে। তথাগত আরও দুটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া দরকার যে দেশে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করা হবে না। তাঁর দ্বিতীয় বক্তব্য, সিএএ-তে আবেদন করার পর যারা নথিপত্রের অভাবে নাগরিকত্ব পাবেন না, সেই সব অমুসলিমদের কী হবে, সেই বিষয়টিও সরকারের স্পষ্ট করা দরকার।
দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, তথাগতর বক্তব্য রুচিহীন। অশালীনতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কুনালের পাল্টা প্রশ্ন, আপনি কি এভাবেই সিএএ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছেন? বিচারের এমন অশ্লীল পরিমাপ ব্যবহার করে? আপনার নিজের লজ্জা পাওয়া উচিত।
পার্টির এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর অভিযোগ করেছেন যে তথাগত রায়ের মন্তব্য ‘অমানবিক’ এবং “বিজেপির দ্বারা স্থায়ী পশ্চাদপসরণমূলক মানসিকতা এবং বিষাক্ত সংস্কৃতির উদাহরণ”। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে