মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাবনায় অস্বাভাবিকভাবে কমেছে বেগুনের দাম। কিছুদিন আগেই যেখানে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বেগুন, সেখানে এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে উপজেলার বরইচরা হাটে বেগুন ১০ টাকা কেজি দরে কেনাবেচা করতে দেখা যায়। নিম্নমানের বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়।
এর আগে রমজানের প্রথম দিন (১২ মার্চ) সকালে পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় বরইচরা হাটের কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে। তারা বলেন, গেল রোববার (১৭ মার্চ) হাটে ব্যাপক সবজির আমদানি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন ও পাতা কপিতে হাট ভরপুর। বাজারের সবচেয়ে ভালো বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। আর একটু নিম্নমানের বেগুন ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক সবজি বিক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, এত বেশি বেগুনের আমদানি হয়েছে যে বেগুন কেনার ক্রেতাই পাওয়া যাচ্ছে না। যে যার মতো কমদামে বেগুন বিক্রি করছে। আমি ৪৫০ টাকা মণ বেগুন কিনে ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। কিছু তো করার নেই কাঁচামালের ব্যবসা এমনই হয়। অসময়ের বেগুন চাষে গত বছর রমজানে চাষিরা বেগুনের ভালো দাম পেয়েছিল। তাই এবারও অনেকেই বেগুন চাষ করেছে। কিন্তু এবার বেগুনের দাম তুলনামূলক অনেক কম। বেগুন চাষিদের এবার লোকসান গুনতে হবে।
ঈশ্বরদীর বৃহৎ সবজির বাজারের আড়তদাররা বলছেন, ঈশ্বরদীতে প্রচুর সবজির আবাদ হয়। পাশাপাশি বেগুন, আলু ও কাঁচামরিচ, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্য পাশের জেলা-উপজেলা থেকে আড়তে আনা হয়। প্রথম রমজানে বেগুনের যে দাম ছিল এখন তার চার ভাগের একভাগ দামও নেই। প্রথম দিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হয়েছে। গত দুই দিন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে।
আড়তদাররা জানান, কাঁচামালের বাজার আমদানির ওপর নির্ভর করে। তবে ২ থেকে ৪দিনের মধ্যে বেগুনের দাম আবার বেড়েও যেতে পারে।