ডিপ ফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা হয়েছিল মার্কিন পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে। আপলোড করেছিলেন ইতালির এক বাবা-ছেলে জুটি। এবার তার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ইউরো দাবি করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির এক ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তি এবং তার ৭৩ বছর বয়সী বাবা মিলে এই ডিুফেক ভিডিয়ো তৈরি করেছিল। এক পর্নস্টারের মুখে জর্জিয়া মেলোনির মুখ চাপিয়ে, বেশ কয়েকটি অশ্লীল ভিডিও তৈরি করেছিল তারা। তারপর ভিডিওগুলো আপলোড করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে। কয়েক মাস ধরে লাখ ক্ষ বার ভিডিয়োগুলো দেখা হয়েছিল।
ইতালির পুলিশ, যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ডিপফেক ভিডিয়োগুলো তৈরি করা এবং আপলোড করা হয়েছিল সেই ফোনটি ট্র্যাক করে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করে। দুজনের বিরুদ্ধেই মানহানির মানহানির মামলা করেছেন মোলেনি। রয়েছে। ইতালীয় আইনের অধীনে, কিছু মানহানির মামলা ফৌজদারি হতে পারে।
তদন্তে দেখা যায়, ২০২২ সালে ভিডিওগুলো আপলোড করা হয়েছিল। তবে সেই সময় জর্জিয়া মেলোনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন না।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, আগামী ২ জুলাই ইতালির এক আদালতের এই মামলার সাক্ষ্য দেবেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের দাবির বিষয়টি সামনে এসেছে।
এদিকে মেলোনির আইনি দলের দাবি, ক্ষতিপূরণের এই দাবিটি ‘প্রতীকী’। পুরুষদের হিংসার শিকার হওয়া নারীদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে।
মেলোনির আইনজীবী মারিয়া গিউলিয়া মারোঙ্গিউ বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের অর্থ নিজে ব্যবহার করবেন না মেলোনি। এই ধরনের অপরাধের শিকার হওয়া নারীদের সাহায্যার্থে পুরো অর্থ তিনি দান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই বিশাল ক্ষতিপূরণের দাবি, সমাজে একটা বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেখে, এই ধরনের ক্ষেত্রে অভিযোগ করতে ভয় পাবেন না নারীরা।’