আজ রোববার (৩১ মার্চ) মিসরের কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা পুনরায় শুরুর সবুজ সংকেত দেওয়ার এক দিন পর কায়রোয় বৈঠকটি শুরু হতে যাচ্ছে।
মিসরের আল কাহেরা সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরের নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে রোববার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হবে।
এর আগে মিসর কাতার ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কয়েকদফা আলোচনা হয়। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য ইসরায়েল ও হামাস একে অন্যকে দোষারোপ করে আসছে।
এদিকে দোহা ও কায়রোয় নতুন করে আলোচনা শুরুর বিষয়ে শুক্রবার অনুমোদন দেন নেতানিয়াহু। এর আগে তিনি মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার সাথে কথা বলেন। তবে তাদের মাঝে কী আলোচনা হয়ে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
অপর দিকে ইসরায়েলের বৃহত্তম শহরে শনিবার প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তারা গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানায়। একই সঙ্গে তারা সরকারের যুদ্ধ পরিচালনারও সমালোচনা করে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এই জিম্মি মুক্তির বিষয়। ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি আলোচকেরা।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ২৫০ জনকে বন্দি করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখনও ১৩০ জিম্মি গাজায় আটক রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন মারা গেছে বলে ধারণা করছে ইসরায়েল।
একই বছর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে— নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। সূত্র: আল কাহেরা