• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

ব্যাটিং ভরাডুবি বাংলাদেশের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত

আশঙ্কাই সত্য বলে প্রমানিত হলো অবশেষে। একের পর এক উইকেটের পতনের সময় ধারণা করা হচ্ছিল ফলো অনে পড়বে টাইগাররা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় টাইগাররা অলআউট হয়েছে ১৭৮ রানেই। যার ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ফলো-অনে পড়তে হলো তাদের।

এর আগে লঙ্কানদের ৫৩১ রেকর্ড গড়া সংগ্রহের বিপরীতে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ব্যাট করতে নেমে দলীয় সংগ্রহ ৫০ রান পেরোনোর আগেই প্রথম উইকেট হারালেও নিরাপদেই দিন পার করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন জাকির হাসান। তুলে নেন অর্ধশতক। কিন্তু এরপরেই ঘটে ছন্দপতন। অর্ধশতক তুলে নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ের পর থেকেই দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকির হাসান ও তাইজুল ইসলাম। শুরু থেকেই দেকেশুনে খেলতে থাকেন তারা। এরপরেই লঙ্কানদের বিপক্ষে অর্ধশতক তুলে নেন জাকির হাসান। ৯৭ বলে এই অর্ধশতক করেন তিনি।

তবে অর্ধশতক তুলে নিলেও নিজের ইনিংসকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ১০৪ বলে ৫৪ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি।

জাকির হাসানের বিদায়ের পর একে একে সাজঘরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাইজুল ইসলাম। প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে মিড উইকেটে দিমুথ করুণারত্নের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত। শান্তর বিদায়ের পরের ওভারেই বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। এই তিন ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপরেই জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান। এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৪১ ওভারে ১১৫ রান করে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন সাকিব আল হাসান। আসিথা ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ২৩ বলে ১৫ রান।

প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও ব্যর্থ লিটন দাস। ৩ বলে মাত্র ৪ রান করে আসিথা ফার্নান্দোর বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ১৩০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরে যান শাহাদাত হোসেন দিপু। ৩৬ বলে ৮ রান করে লাহিরু কুমারার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।

১৪৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হক। এই জুটিতে ভর করে ফলো-অন এড়ানোর স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। তবে এই জুটিকে আর বেশিদূর এগোতে দেননি প্রবাথ জয়সুরিয়া। প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। তার বিদায়ে ভাঙে ১৭ রানের জুটি।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কার একাধিক ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। যার ফলে প্রথম দিনেই ৩০০ রান পার করে ফেলে লঙ্কানরা। এরপর দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশের ক্যাচ মিসের মহড়া চলতে থাকে। যার চড়া মাশুলও গুণতে হয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশের এমন ক্যাচ মিসের সুযোগে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান তুলে শ্রীলঙ্কা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ