ফরিদপুর প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুড়দিয়া গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী শামসুল আলম (৩৫) কে হত্যার পর এবার তার স্বজনদের আসামী করে হামলা ও চাঁদাবাজি মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে। শামসুল আলম হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইলিয়াস মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে সোমবার রাতে বোয়ালমারী থানায় হামলা ও চাদাবাজির অভিযোগ তুলে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় নিহতের আপন তিন ভাই খলিল মোল্লা, মাহাবুব মোল্লা ও কুদ্দুস মোল্লা এবং নিহতের ভাতিজা ও খলিল মোল্লার পুত্র ইমরান মোল্লা ও কামরান মোল্লাসহ গুড়দিয়া, কাামারগ্রাম, বাগুয়ান ও হরিহরনগর গ্রামের ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
নিহতের ভাই খলিল মোল্লা বলেন, হত্যাকারী পক্ষের লোকজন প্রভাবশালী। হত্যার পর থেকে মামলা না করার জন্যে তারা চাপ দিয়ে আসছিল। হত্যা মামলা করায় তারা ক্ষুব্দ হয়ে হামলা ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। তিনি দাবী করেন, তার এক সন্তান এলাকায় থাকেনা এমনকি নিহত চাচার লাশ দেখতেও আসতে পারেনি, তাকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। তিনি দাবী করেন, পুলিশ হত্যা মামলার আসামীদের না ধরে আমাদের হয়রানি করছে।
নিহতের চাচাতো ভাই ও মামলার আরেক আসামী নুর ইসলাম জানান, হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ও নিহতের স্বজনদের হয়রানি করতে এ মামলা দায়ের করেছে আসামী পক্ষের লোকজন। আর হামলা ও চাদাবাজি মামলার প্রধান আসামী রবিউল ইসলাম সম্্রাট বলেন, নিহতের বাড়ী থেকে আমার বাড়ী পাঁচ কিলোমিটার দুরে, কি কারণে আমাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে তা বোধগোম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের পক্ষের লোকজনের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে হত্যা মামলার আসামী পক্ষের কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়। তাদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ছেলে আব্দুল্লাহ। এখানে হত্যা মামলায় ব্যাঘাত ঘটাতে বা বাদী পক্ষের উপর চাপ প্রয়োগের উদ্ধেশ্যে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৫ অক্টোবর ভোরে বাড়ীর অদুরের মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে বাড়ী ফেরার সময় প্রতিপক্ষ ইলিয়াস মোল্লার লোকজন পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে শামসুল আলম গুরুত্বর আহত হয়। আহতাবস্থায় তাকে প্রথমে বোয়ালমারী ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এঘটনার একদিন পর নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।