টানা চার জয়ে আসর শুরু করা রাজস্থান গত ম্যাচে মুম্বাইয়ের সাথে পেরে উঠেনি। তবে এক ম্যাচ পর ফের জয়ের ধারায় ফিরেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল। যদিও কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে গোলাপি জার্সিধারীদের। শনিবার আইপিএল ম্যাচে ১ বল বাকি থাকতে কোনোমতে লক্ষ্য ছুঁয়েছে দলটি।
যেখানে ২০০ রানও নিরাপদ নয়, ১৮০-৯০ অহরহই পাড় হয়; সেখানে পাঞ্জাবের দেয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যটা নিতান্তই সাধারণ মনে হওয়াটা ভুল কিছু নয়। তবে সহজ লক্ষ্যটাই কঠিন হয়ে যায় শনিবার চান্দিনগরে। পাঞ্জাব বোলাররা ছেড়ে কথা বলেনি।
একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়তো অঘটন ঘটে যাবে। বেশ ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরেছিল পাঞ্জাব। ১১.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৮২ রান তোলা রাজস্থান ১৭.২ ওভারে ১১৫ রানে হারায় ৫ উইকেট। ১৯তম ওভার শেষে যা দাঁড়ায় ১৩৮/৭। তবে হেটমায়ার বিপদ আসতে দেননি।
অবশ্য রান তাড়ায় শুরুটা খারাপ ছিল না রাজস্থানের। উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে আসে ৫৬ রান। যশস্বী জয়সাওয়াল ভালো করলেও বাটলের অসুস্থতার কারণে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া থানুশ কোটিয়ান ভালো করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ৩১ বলে ২৪ করে।
১২তম ওভারে ফেরা জয়সাওয়াল কতেন ২৮ বলে ৩৯ রান। এখান থেকেই শুরু উত্তেজনার। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক স্যামসন (১৮) ও রিয়ান পরাগ। ১৮ বলে ২৩ রান করেব পরাগ। ধ্রুব জুড়েল ১১ বলে ৬ রানে আউট হন।
সেখান থেকে রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে সহজ জয়ের চেষ্টা চালান হেটমায়ার। তবে পাওয়েল ৫ বলে ১১ রানে আউট হলে চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। সেখান থেকে একপ্রকার একা হাতেই দলকে জিতিয়ে আনেন হেটমায়ার। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণও মেলান তিনি। অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২৭ রানে।
এর আগে ধাওয়ান না থাকায় আজ অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ওপেনিংয়েও বদল আনতে হয় পাঞ্জাবের। তবে তাতে ভাগ্য বদলায়নি। ১২.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রান উঠে মাত্র ৭০। শেষ দিকে আশুতোষ শর্মা ১৬ বলে ৩১* রানের ইনিংস না খেললে হয়তো আরো আগেই গুটিয়ে যেত পাঞ্জাব।
টপ অর্ডারের অন্যতম ভরসা জনি বেয়ারস্টো এ দিনও ব্যর্থ। তরুণ অর্থব তাইদেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। দুজনই আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। ১০ রানে থেমেছেন তিনে নামা প্রভসিমরান সিং। নতুন অধিনায়ক স্যাম কারেনও ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। আর শশাঙ্ক সিং আউট হন ৯ রানে।
সেখান থেকে জিতেশ শর্মা ২৪ বলে ২৯ রান করে পাঞ্জাবের রানটাকে এক শর ওপারে নিয়ে যান। লিয়াম লিভিংস্টোন ও ইমপ্যাক্ট সাব আশুতোষ শর্মা বাকি কাজটা করেন। লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ বলে ২১ রান।