• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন

ইরানের উপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে যে সপ্তাহের শুরুতে ইসরাইলে হামলার পর তারা ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের দিকে নজর দিচ্ছে। ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, এ বিষয়ে ‘আগামী দিনগুলোতে’ পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন। অন্যদিকে, ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ব্লক (ঐক্যবদ্ধ কিছু দেশ) এটি নিয়ে কাজ করছে।

ইসরাইল তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অনুরোধ করেছে। গত বছরের অক্টোবরে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করার জন্য যে বিস্তৃত চুক্তি করা হয়েছিলো তার সাথে সম্পর্কিত ছিল এই নিষেধাজ্ঞাসমূহ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা যুক্ত করেছে।

গত ১৩ এপ্রিল শনিবার ইসরাইলের উপর প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা করে ইরান। এই হামলায় ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেসবের বেশিরভাগই ইসরাইল এবং তার মিত্রদের দ্বারা ধ্বংস হয়েছে। এ হামলাটি পহেলা এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিশোধ ছিল বলে জানিয়েছে তেহরান। সিরিয়ার সেই হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছিল।

এখন পর্যন্ত ইসরাইল শুধুমাত্র কূটনৈতিকভাবে এই হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০টিরও বেশি দেশকে ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের একটি প্রধান সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হলো ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। এটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তকমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এটি করলেও, যুক্তরাজ্য এখনও করেনি।

মঙ্গলবার মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ইয়েলেন বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞার প্রতি সম্মান রেখেই আমি সম্পূর্ণ আশাবাদী যে আগামী দিনগুলোতে আমরা ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবো। আমরা নিষেধাজ্ঞার টুলসগুলো প্রাক্-নিরীক্ষণ করিনি। কিন্তু ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যহত করার সব বিকল্পই আলোচনার টেবিলে‌ থাকবে।’ ইরানের তেল রপ্তানি ‘একটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র, যা আমরা খতিয়ে দেখতে পারি’ যোগ করে তিনি বলেন, ‘ইরান কিছু তেল রপ্তানি করছে। সেখানেও আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি।

ইয়েলেন বলেন, ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোকে তার অর্থায়ন করার ও ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে সমর্থন করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে আছে পাঁচ শতাধিকেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান পরে বলেছিলেন যে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কর্মসূচির’ পাশাপাশি দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কেও লক্ষ্যবস্তু করবে।

ইইউ’র শীর্ষ কূটনীতিক বোরেল বলেছেন, কিছু সদস্য দেশ ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞাকে আরও বাড়াতে বলেছে। ‘নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার জন্য’ ইইউ’র কূটনৈতিক পরিষেবার কাছে অনুরোধ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ একটি পোস্টে ‘নিষেধাজ্ঞা গ্রহণের দিকে ইতিবাচক প্রবণতাকে’ স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ