নতুন নির্বাচন আয়োজন ও বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ইসরায়েলে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার ইসরায়েলি। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সর্বশেষ দফা বিক্ষোভে নতুন নির্বাচনের দাবিতে এবং গাজায় আটক বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপের দাবি জানায়।
জরিপগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক তাদের দেশে নিরাপত্তা ব্যর্থতার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন। তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বারবার আগাম নির্বাচনের কথা অস্বীকার করেছেন।
জনমত জরিপগুলো বলা হচ্ছে- এখন ইসরায়েলে নির্বাচন হলে তাতে নেতানিয়াহু হেরে যাবেন। আর তাই নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধের মাঝখানে নির্বাচনে যাওয়া কেবল হামাসকেই পুরস্কৃত করবে।
রয়টার্স বলছে, শনিবার তেল আবিবে বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ইয়ালন পিকম্যান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এসেছি, তারা আমাদেরকে মাসের পর মাস নিচে টেনে নিয়ে যাচ্ছে; ৭ অক্টোবরের আগেও এবং ৭ অক্টোবরের পরেও। আমরা নিচে নেমেই চলেছি।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে, গত জানুয়ারিতে এই আদালতের দেয়া এক অন্তর্র্বতীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে এরপরও নেতানিয়াহু গাজায় ইসরায়েলি অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সমস্ত বন্দিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে আনা এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।