মালয়েশিয়ার লুমু শহরে ২টি হেলিকপ্টার মাঝ আকাশে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নৌবাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে নৌবাহিনীর ঘাঁটির কাছে প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (বারনামা) জানিয়েছে, একটি হেলিকপ্টারে ছিল ৭ জন এবং অপর হেলিকপ্টারটিতে ছিল ৩ জন নৌবাহিনীর সদস্য। দুর্ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছে।
জানা গেছে, সকালে লুমুতে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নেভি (আরএমএন) ঘাঁটিতে দুটি মালয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার মধ্য-আকাশে সংঘর্ষে ১০ জনের কেউ বেঁচে নেই। এর মধ্যে এম৫০৩-৩ মেরিটাইম অপারেশনস হেলিকপ্টার (এইচওএম) বোর্ডে সাতজন ক্রু ছিল, অন্য এম৫০২-৬-এ তিনজন ছিল।
আরো জানা গেছে, আগামী ৩ ও ৫ মে অনুষ্ঠিতব্য ৯০তম নৌবাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে একযোগে একাধিক হেলিকপ্টার নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। এই দুর্ঘটনার সময় মোবাইলে ধারণকৃত ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি হেলিকপ্টার আরেকটি হেলিকপ্টারের পেছনের অংশের সাথে সংঘর্ষের পর ২টি হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নেভি (আরএমএন) মঙ্গলবার পেরাকের বেস লুমুতে ৯০তম আরএমএনডে প্যারেড চলাকালীন দুটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ চিহ্নিত করার জন্য একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করেছে।
মালয়েশিয়ান নৌ সদর দফতরের কৌশলগত যোগাযোগ শাখা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে- তদন্ত বোর্ড একটি টিএলডিএম মেরিটাইম অপারেশন হেলিকপ্টার (এইচওএম-এডব্লিউ১৩৯) এবং একটি টিএলডিএম ফেনেক হেলিকপ্টার যেটি আজ সকালে ৯টা ৩২ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়েছে তার বিষয়ে তদন্ত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ লাশ শনাক্তকরার জন্য লুমুট টিএলডিএম বেস সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আরো জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি স্পর্শকাতর হওয়ায় প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।