কৃষি বিভাগের ভাষায় মাঠের কোন কোন ধানে ক্ষীর বা দানা শক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি উপজেলায় বোরা কাটা শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান , এবার বগুড়ায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল । গত বছরের তুলনা একটু বেশি জমি লক্ষ্যমাত্রার আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু এবার কিছু জমিকে ভুট্ট্রা চাষের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় বোরোর আবাদ সমান্য কম হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬শত ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ কম হয়েছে। তিনি আশা করেন এ সত্বেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার কোন হেরফের হবে না। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হরেছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩২ মেট্রিকটন(চাল আকারে।
এর মধ্যে বগুড়ার অপেক্ষকৃত নিচু এলাকায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি চরে , সোনাতলা ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছে কৃষক। নন্দীগ্রাম উপজেলার বুরুইল ইউনিয়নের কৃষক সামেদ আলী জানান, ধান খুব ভালো হয়েছে। যাদি আবহাওয়া ভালো (ঝড়,শীল বৃষ্টি বিহীন ) থাকে তবে তারা ভালো ফসল পাওয়ার আশা রাখে।
বগুড়ায় বোরো ধানের ফ্লাওয়ারিং শেষে ধানে শীষ বের হয়েছে ।এ সময় অধিকাংশ ক্ষেতে ধানে ম্লিক বা দুধ এসে যাওয়ায় অতি তাপমাত্রায় চিটা হওয়ার আশংকা দূর হয়েছে এমন তথ্য দিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতলুবর রহমান।
জেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (পরিসংখ্যান) ফরিদ উদ্দিন জানান, ২ থেকে ৩ শতাংশ নিচু জমির ধান কাটা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুরো মাত্রায় ধান কাটা শুরু হবে । তিনি জানান এবার ধান খুব ভালো হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যু সরবরাহ থাকায় সেচ কাজে বিঘ্ন ঘটেনি। সূত্র বাসস