ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে বুধবার চীন পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
রাশিয়া, তাইওয়ান এবং বাণিজ্যসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্যের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ব্লিঙ্কেন সাংহাইয়ের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন জিনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, বৈঠকে ব্লিঙ্কেন চীনের ‘বাণিজ্য নীতি এবং বাজার বহির্ভূত অর্থনৈতিক অনুশীলন’ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ‘চীনে মার্কিন কর্মী ও সংস্থাগুলোর জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
বিপরীতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন, চীনে মার্কিন ব্যবসার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং বলেন ‘সহযোগিতা বা দ্বন্দ্ব’ এর একটি কে বেছে নেওয়া উভয় দেশের জনগণ, এবং মানবতার ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে।
শুক্রবার বেজিংয়ে যাবেন ব্লিংকেন। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হবে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি।
এর আগে ব্লিংকেন তার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছেন, চীন থেকে ফেন্টানিল ও সিন্থেটিক আফিমের মতো ওষুধ আসাটা কম করার বিষয়টি নিয়ে তিনি চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি লিখেন, মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে কূটনীতির আলাদা গুরুত্ব আছে। ভুল ধারণা ও ভুল বার্তা এড়ানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থরক্ষাটাও জরুরি।
গতবছর জুনে ব্লিংকেন চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কমেছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে ব্লিংকেনই সর্বোচ্চ মার্কিন কূটনীতিক যিনি চীন সফরে যান। এরপর নভেম্বরে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। বাইডেন ও শি-র বৈঠকে ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছিল।