মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির গোলের ধারা চলছেই। আগের ম্যাচে ন্যাশভিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন। এবার ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়ামে আজ রবিবার নিউ ইংল্যান্ড রেভল্যুশনের বিপক্ষে আবার জোড়া গোল করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। ইন্টার মায়ামিকে ৪-১ ব্যবধানের জয় এনে দিয়েছেন। ম্যাচটিতে ৪-১ গোলে জয় পায় মায়ামি।
রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় এমএলএসের ম্যাচে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি ও নিউ ইংল্যান্ড রেভুলেশন। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটা আরও সুসংহত করেছে ইন্টার মায়ামি। ১১ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে তারা। দুই কনফারেন্স মিলিয়েও একই অবস্থানে মেসির দল। দ্বিতীয় স্থানে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সির পয়েন্টও ১১ ম্যাচে সমান ২১। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। ইন্টার মায়ামির গোল ব্যবধান ১০, গ্যালাক্সির ৬।
জিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির পক্ষে ছিল না। প্রায় ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড ম্যাচের ৪০ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায়। তবে সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি মায়ামি। ৩২ মিনিটে বুসকেটসের বাড়ানো বল থেকে মেসি সমতা আনেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
৬৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। বুসকেটসের পাসে বক্সে বল পেয়েই শটে জালে পাঠান মেসি। তাতে রেকর্ডেও নাম লেখান মেসি। মেজর লিগ সকারে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ ম্যাচে দুই বা তার বেশি গোলে অবদান রাখেন।
৮৩ মিনিটে মেসি আবারও বক্সে বল পেয়ে শট নেন। নিউ ইংল্যান্ড গোলকিপার তা ফিরিয়ে দিলে বল জালে পাঠান ক্রামাশ্চি। পরের গোলেও আছে মেসির ছোয়া। বক্সের খানিকটা বাইরে বল পান মেসি। সামনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পাস দেন বাঁ-পাশে থাকা সুয়ারেজকে। চিপ শটে স্কোর ৪-১ করেন সুয়ারেজ।
মেসি পাসটি দেওয়ার সময় বক্সে ছিলেন ইন্টার মায়ামির পাঁচ খেলোয়াড়। এই অ্যাসিস্টেও দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন মেসি। এমএলএস এর ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মৌসুমে প্রথম ৭ ম্যাচে অন্তত ১৫ (১৬) গোলে অবদান রাখলেন মেসি। চলতি মৌসুমে লিগে মেসি গোল করেছেন ৯টি, যা তাকে এরই মধ্যে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসিয়েছে। অ্যাসিস্ট করেছেন চারটিতে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমে মেসির গোল হলো ১১টি, অ্যাসিস্ট ছয়টি।