রংপুর প্রতিনিধি॥
কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেনি, বিয়ের পিঁড়িতে বসেনি, আত্মীয় স্বজনরা কেউ কিছু জানে না, অথচ হঠাৎ করে দেনমোহর ও খোরপোষ মামলার নোটিশ পেয়ে হতবাক কাউনিয়ার এক কলেজ পড়–য়া ছাত্র নাহিদ হাসান।
জানা গেছে বিয়ে রেজিষ্ট্রি কাবিন নামা যে কাজীর কাছে করা হয়েছে তিনিও প্রত্যয়ন দিয়েছেন তার বহি নং এ/৩৪ পাতা নং ৯৫-তে এ নামে কোন বিয়ে রেজিষ্ট্রি কাবিননামা হয়নি। স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী নাহিদের বিয়ের বয়স হয়নি এবং বিয়েও করেনি তবুও নাহিদ হাসান দেনমোহর ও খোরপোষ মামলার আসামী। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের খোপাতি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা বাদী হয়ে মাননীয় পারিবারিক জজ আদালত রংপুরে নাহিদ-কে আসামী করে দেন মোহর ও খোরপোষ মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৫৮/১৭ তারিখ ১৭/০৯/১৭। বাদীনির অভিযোগ ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে গত ১৯/০১/১৫ কাজী আজাহারুল ইসলাম বাবুলের দপ্তরে রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে ইসলামী শরা শরীয়ত অনুযায়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মোঃ আনারুল ইসলাম বাবুর পুত্র মোঃ নাহিদ হাসান এর সাথে বিয়ে হয়।
আনারুল ইসলাম বাবু অভিযোগ করে বলেন মেয়ে যে বিয়ের সময় উল্লেখ করেছে সে সময় ছেলের বয়স স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১৯ বছর ১১ মাস ২৭ দিন হয় এবং কাজী আজহারুল এর লিখিত প্রত্যায়নে জানা যায় কনে শারমিন আক্তার ও বর নাহিদ হাসান নামে তিনি কোন রেজিট্রি কাবিন করান নাই। তার ভাষ্যমতে ভূয়া কাজী দ্বারা এ বিয়েটি রেজিষ্ট্রি হয়েছে। যেহেতু নাহিদ হাসান তার পিতা-মাতা, আত্মিয় স্বজন কেহই বিয়ের বিষয়টি জানেনা এবং কাবিন নামায় স্বাক্ষী হিসেবে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তাদেরকে চেনে না, সেহেতু নাহিদ হাসনের পিতা বাবু বাদী হয়ে কনের পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলামগং সহ ৫ জনকে আসামী করে ধারা ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭৯/৩৪ দঃ বিঃ মোতাবেক রংপুরে মাননীয় কাউনিয়া থানা জুডিশিয়াল আমলী আদালতে গত ১২/১০/১৭ তারিখে একটি আবেদন দাখিল করেছে। আবেদন নং পিআর ৯১/১৭। সিরাজুল ইসলামের কন্যা বাদী হয়ে ভুয়া বিয়ে এবং ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে যে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে তা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও কলেজ ছাত্রকে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষার দাবী জানিয়েছেন নাহিদেও পিতা আনোয়ারুলসহ তার পরিবার।