দিন দিন মার্কিন ক্যাম্পাসগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনপন্থীদের টানা বিক্ষোভ চলছে।
দিন যত গড়াচ্ছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। আটক করা হয়েছে শত শত বিক্ষোভকারীকে।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে না সরায় তাদের বহিষ্কার করা শুরু করেছে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর রয়টার্স এবং বিবিসি।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে নিতে ও বিক্ষোভ বন্ধ করতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করে গতকালও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।
আর তাই নির্দেশ অমান্যকারী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোচে শফিক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ছাত্র সংগঠন এবং একাডেমিক নেতাদের মধ্যে কয়েক দিনের আলোচনা শেষেও ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের স্থাপিত কয়েক ডজন তাঁবু অপসারণে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে।‘
কলোম্বিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৯ সৈন্যকলোম্বিয়ায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৯ সৈন্য
সোমবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার পরবর্তী পর্যায়ের অংশ হিসেবে আমরা নির্দেশ অমান্যকারী শিক্ষার্থীদের স্থগিত করা শুরু করেছি।”
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট শফিক জানিয়েছিলেন যে, বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ইসরায়েলের সাথে বিনিয়োগ বন্ধ করবে না কর্তৃপক্ষ। এর পরিবর্তে তিনি গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেন।
এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভকারীদের তাঁবু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। তাঁরা নির্দেশ মানেননি।
এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে ‘বেসবলের সমান’ পাথর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশির ভাগ বিক্ষোভকারীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন মার্কিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের বয়কট করার দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।