• রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাসিনার আমলে নির্যাতিত হয়েছে হিন্দুরা, ক্ষুব্ধ মোদির ভূমিকায় হিন্দু জোটের মহাসচিব আপত্তিকর বক্তব্যে দেওয়ায় সমন্বয়ক হাসিবকে শোকজ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন ফখরুল জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইরান পরমাণু প্রযুক্তিতে শীর্ষ দেশের মধ্যে একটি, দাবি পারমাণু প্রধানের সোহেল তাজ স্মারকলিপি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টর কাছে যে দাবি জানালেন সৎ-নির্ভীক ও দক্ষ লোক ইসি সার্চ কমিটিতে নিয়োগ হবে বিয়ের দাবিতে এক প্রেমিকের বাড়িতে ২ তরুণীর অনশন আদানির পূর্বের বকেয়া জন্য মূলত দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার: প্রেস সচিব নিরপরাধ মানুষকে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সাভার থানার এসআই ক্লোজড

বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহযোগী শহীদ কামারুজ্জামানকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ধ্রুবতারা ইউটিউবে মুক্তি পেলো

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম সহযোগী, পচাত্তরের ৩ নভেম্বর কারাগারে নির্মমভাবে নিহত শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘উত্তরের মানুষ ধ্রুবতারা’ ইউটিউবে মুক্তি পেলো। প্রায় ৪৬ মিনিট দীর্ঘ এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রে শহীদ কামারুজ্জামানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন স্বজন, সহযোদ্ধা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষায় উঠে এসেছে।

শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি একাত্তরের ৮ মার্চ কারফিউ প্রত্যাহারের জন্য পত্রিকায় বিবৃতি দেন ও ১১ মার্চ রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে এক বিশাল জনসভায় স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে শপথ নেন এবং স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হওয়ার সময় কারাবন্দী হন ও ৩ নভেম্বর রাতে কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

শহীদ কামারুজ্জামানের পূর্বসুরী ও উত্তরসুরীদের অনেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে গণমানুষের জন্য লড়াই সংগ্রাম অব্যহত রেখেছেন। তাঁর দাদা জমিদার হাজ্বী লাল মোহাম্মদ কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাকালে দু’বার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য (এমএলসি) নির্বাচিত হন; রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন। শহীদ কামারুজ্জামানের পিতা আব্দুল হামিদ মিয়া রাজশাহী অঞ্চলে মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ও পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ কামারুজ্জামানের বড় ছেলে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন, তাকে রাজশাহীর অন্যতম সফল মেয়র বলা হয়। শহীদ কামারুজ্জামানের পুতিন ও খায়রুজ্জামান লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের উন্নয়নে একই পরিবারের এমন ধারাবাহিক অংশগ্রহনের নজির প্রায় বিরল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ