ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ারা বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করছে রাশিয়া।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধকারী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে রাশিয়া যা আন্তর্জাতিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের সমতুল্য। খবর সিএনএন, রয়টার্স
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে ক্লোরোপিক্রিন গ্যাস ব্যবহার করেছিল জার্মানি। হেগ-ভিত্তিক অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন্স (ওপিসিডব্লিউ) এই গ্যাসকে নিষিদ্ধ শ্বাসরোধকারী এজেন্ট হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
এই গ্যাসে প্রভাবে ফুসফুস, চোখ এবং ত্বককে জ্বালাতন করে, আক্রান্ত হলে সপ্তাহ ধরে বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। বর্তমানে ক্লোরোপিক্রিনের সামরিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও কৃষিকাজে এর ব্যবহার রয়েছে।
গ্যাস হামলায় বেঁচে যাওয়া দুইজন ইউক্রেনীয় সৈন্য সিএনএনকে জানিয়েছে, ক্লোরোপিক্রিন গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের মুখে এবং গলার ভিতরে পোড়া ক্ষত তৈরি হয়েছে এবং শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি তারা। গত জানুয়ারিতে নেদারল্যান্ডসের রুশ দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছে রুশ সেনাবাহিনীর মজুদে কোনও রাসায়নিক অস্ত্র নেই।