• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
১৯ বার নিশ্চিত মৃত্যুকে জয় করে এখন বিশ্ব রাষ্ট্রনায়ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র হামাস প্রধানকে হত্যা করে গাজা যুদ্ধ শেষ করতে চায় ! ইসরাইল গাজা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে : সাবেক মোসাদ উপ-প্রধান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি সবজি বহনকারী ট্রাক-লরি থেকে চাঁদাবাজি করছে নগর কর্তৃপক্ষ : সাঈদ খোকন পিটিয়ে ২ তরুণীকে আহত করার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হিউস্টনের ঝড়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা! র‍্যাবের হাতে হত্যা মামলার আটক আসামি মৃত অবস্থায় হাসপাতালে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান, ওবায়দুল কাদেরের অস্ত্র বোঝাই ইসরাইলি জাহাজ বন্দরে ভিড়তে দেইনি স্পেন বন্দরে

প্রয়োজন ২২ হাজার দক্ষ ধাত্রী, আছেন ২৫৫৭

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

দেশে প্রতি বছর গড়ে ৩২ লাখ শিশু জন্ম নেয়। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য দেশে অন্তত ২২ হাজার দক্ষ ধাত্রী প্রয়োজন। অথচ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ধাত্রী আছেন দুই হাজার ৫৫৭ জন, যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ১২ শতাংশ।

অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের ক্ষেত্রে রয়েছে দক্ষ ধাত্রীর সংকট। যে কারণে দেশে অস্ত্রোপচারে জন্ম দেওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার (৫ মে) বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস-২০২৪। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মিডওয়াইফ, জলবায়ু সংকটে অপরিহার্য জনশক্তি’।

ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব মিডওয়াইফস (আইসিএম) বলছে, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। দিন যত যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব তাপপ্রবাহ, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের আড়াই হাজারের কিছু বেশি মিডওয়াইফ রয়েছে। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে এ সংখ্যা খুবই অপ্রতুল।

ঘাটতি পূরণে পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টির আবেদন করা হয়েছিল। নানা জটিলতায় ৪০১ জনের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তবে এরই মধ্যে তিন হাজার নার্স নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আরো পাঁচ হাজার পদ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ হবে। তখন সংকট কমে যাবে। প্রসূতি মায়ের ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসবের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তথ্য মতে, একটি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হওয়া উচিত ৮৫ শতাংশ। অস্ত্রোপচারে শিশু জন্ম কোনোভাবেই ১৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। বাংলাদেশে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিশু জন্মের হার ৪৯.৩ শতাংশ। আর অস্ত্রোপচারে জন্ম নিচ্ছে ৫০.৭ শতাংশ শিশু।

বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির সভাপতি আসমা খাতুন বলেন, দেশে ২০২০ সালে প্রসবকালে প্রতি লাখে ১৬৩ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি লাখে ১২১ জনে নামিয়ে আনা; এভাবে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি লাখে ৮৫ জনে নামিয়ে আনা। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এই হার ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে।

দেশে এক বছরে অস্ত্রোপচারে প্রসবের হার ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে বলে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২০২২ সালে মোট প্রসবের ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল অস্ত্রোপচারে প্রসব। ২০২৩ সালে এই হার বেড়ে হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ।

প্রসূতি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের’ (ওজিএসবি) চিকিৎসকরা জানান, মাতৃ স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনও অনেক কাজ বাকি। কারণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় মিডওয়াইফের সংখ্যা কম। সব হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজের উপযুক্ত পরিবেশও নেই। তাদের কাজের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এখন মিডওয়াইফদের অনেকে নার্স ভাবেন। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরাও মিডওয়াইফদের কার্যপরিধি সম্পর্কে খুবই কম জানেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ