পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণীকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে পৌর সদর সংলগ্ন উথূলি খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত দুই বোনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত দুই বোন হলেন- উথূলি খামারপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম রিজুর মেয়ে মিম খাতুন (২০) ও লাম খাতুন। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল। তিনি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি। ভুক্তভোগী এ পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েলের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় মিম ও লাম নামে ওই দুই বোনের। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রড দিয়ে ওই দুই বোনকে পেটাতে থাকেন পায়েল। এ সময় পায়েলের বাবা রফিকুল ইসলাম হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে মিম ও লামকে। এতে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বাবা রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম। আমি তাদের (মিম-লাম) আঘাত করিনি। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে ফাঁসানোর জন্য।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। নারীর গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি। এটা নিন্দনীয় কাজ। উপযুক্ত শাস্তি চাই।
চাটনোহর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ওই দুই নারীর বাবা বাদী হয়ে মামলা রেছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে আটকের পর গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করব। এর সত্যতা পেলে তার (পায়েল) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।