গাজায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এতে করে সেখানে তীব্র মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে গাজার অসহায় ও দুর্গত মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য যে কয়েকটি পথ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে এই ক্রসিংটি অন্যতম। এই পরিস্থিতি থামাতে দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা করে একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর।
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এ ঘটনায় তিন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল ও বিবিসি।
এর আগে যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিতে হামাসের প্রতি সাত দিনের আলটিমেটাম ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এরপর হামাসও পাল্টা যুদ্ধবিরতির শর্ত মানবে না বলে জানিয়েছিল। এর ভেতর এমন রকেট হামলায় আবারও পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ সংক্রান্ত বিশ্লেষকরা।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আইডিএফ আরো বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এদিকে মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আলোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, সর্বশেষ রাউন্ডের এই আলোচনা রোববার শেষ হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিদল এখন হামাস নেতৃত্বের সাথে পরামর্শ করতে কায়রো থেকে কাতারে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস এই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন এবং তিনিও এখন দোহায় আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী ত্যাগ করেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।