ধান ও চালের গুণগত মানে কোনো আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। একইসঙ্গে কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে হাওড়ের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, হাওড়ের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওড়কে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানির শিকার না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লোক সুপারভাইজার বলা হতো। তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।
মন্ত্রী বলেন, যারা অ্যাপসে আবেদন করেছেন কিংবা কৃষি দপ্তরে কৃষক ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন বা তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করা হবে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ কী-না। যদি এর বেশি হয়, তাহলে তাদেরকে বলবেন আরও একটু শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসতে।
তিনি আরও বলেন, কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন।
আর গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেই দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কর্মকর্তাদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যারা শ্রমিক সরবরাহ করেন, সেই ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এ জন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।