• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

চাঁদপুরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আবারো উৎপাদন শুর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪

চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডে গত ৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। মেরামত কাজ শেষে সোমবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১টায় গ্যাস সংকট নিয়ে ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের মধ্যে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) নূরুল আবছার।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মার্চের ১০ তারিখে চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট উৎপাদনে আসে। তবে অপর ৫০ মেগাওয়াট ইউনিট তখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। মার্চ মাস চালু ছিল। এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ থেকে ছোট আকারের অগ্নিকাণ্ডে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

প্রকৌশলী নূরুল আবছার বলেন, উৎপাদন কেন্দ্রের ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের জেনারেটর বেয়ারিংয়ে ওয়েল লিকেজ মেরামত কাজের জন্য ১ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে এখন ১০০ মেগাওয়াট ইউনিটের ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়লে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সম্ভব হবে। বর্তমানে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট। একটি ১০০ মেগাওয়াট এবং অপরটি ৫০ মেগাওয়াট। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। চীনা কোম্পানি চেংদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ