বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যে চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অতিথি ভ্লাদিমির পুতিনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শি ও পুতিন একে অপরকে জড়িয়ে ক্যামেরার সামনে ছবিও তুলেছেন। দুই নেতার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি বেশ ফলাও করে প্রচার করেছে রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
সফরে চীনের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, তার পরিবারের সদস্যরা মান্দারিন ভাষা শিখছেন। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পুতিনের এমন বক্তব্য খুব বিরল। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘ভাইয়ের মতো ঘনিষ্ঠ’। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা বেইজিংকে আশ্বস্ত করতে অর্থনীতির উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন পুতিন।
কিন্তু শি জিনপিংয়ের প্রতিক্রিয়া ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে সংযত। তিনি পুতিনকে একজন ‘ভালো বন্ধু ও ভালো প্রতিবেশী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যা একটি লেনদেনের সম্পর্ককে ইঙ্গিত করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়াকে দুর্বল করেছে এবং চীনের শক্তিশালী অবস্থান সম্পর্কে সচেতন শি।
সফরটির মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক। সফরসঙ্গী হিসেবে পুতিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, অর্থমন্ত্রী ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে নিয়ে এসেছেন। যৌথ বিবৃতিতে ‘সহযোগিতা’ শব্দটি ছিল ১৩০ বার। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ দ্বীপে একটি বন্দর নির্মাণ এবং জাপান সাগরে নৌ চলাচলের অধিকারের জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা।
সর্বোপরি চীনের বার্তা ছিল স্পষ্ট: বেইজিং নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে। অংশীদারিত্বে বড় অংশীদার হিসেবে চীন যতটুকু উপকৃত হবে সেটুকু সহযোগিতা রাশিয়াকে দেবেন শি। এর মাধ্যমে জোট ও নিজের স্বার্থ বজায় রাখার মতো জটিল ভারসাম্যের পথে হাঁটছেন তিনি।