• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

মহানবী (সা.)-গৃহকর্মীর সঙ্গে যেমন ছিল আচরণ করতেন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সুন্দর আচরণের বিকল্প নেই। যাদের আচরণ সুন্দর ও মাধুর্য পূর্ণ—তাদের অন্যরা পছন্দ করে।

সর্বাবস্থায় তাদের পাশে থাকে। কিন্তু যাদের আচরণ অসুন্দর; মানুষ তাদের ঘৃণা করে। যদিও সাময়িক কোনো স্বার্থ কিংবা বিশেষ কারণে অসন্তোষ গোপন রাখে।
প্রাচীন কাল থেকে মানুষ বাড়ি-ঘরে কাজের সুবিধার্থে গৃহকর্মী নিয়োগ দিয়ে আসছে। আধুনিককালে গৃহকর্মীর কাজের ধরন পরিবর্তন হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগের মতো রয়েছে।

আচার-আচরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক মানুষ গৃহকর্মীর সঙ্গে অবিচার-নির্যাতন করে। অথচ এটি ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গৃহকর্মী কোনো কারণে ভুল করলে ইসলাম শুধরে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাসুল (সা.) এর দৃষ্টান্ত ও উপমা রেখে গেছেন। গৃহকর্মীর প্রতি প্রিয় নবী (সা.)-এর ক্ষমা ও সহনশীলতা সম্পর্কে সাহাবি আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে রাসুল (সা.) এর খেদমত করেছি। আল্লাহর কসম! তিনি কোনো দিন আমাকে বকা দেননি। কোনো দিন উফ্ বলেননি। কখনো বলেননি, এ কাজটি কেন করেছ এ কাজটি কেন করোনি’ (বুখারি, হাদিস নং ৬৪৩০)

অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো কোনো বস্তুকে কিছু দিয়ে আঘাত করেননি। তার কোনো স্ত্রী ও সেবক-গৃহকর্মীকে প্রহার করেননি। শুধুমাত্র তিনি আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করেছিলেন। কারো থেকে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। কিন্তু আল্লাহর অসম্মানী করা হলে, তখন আল্লাহর জন্য প্রতিশোধ নিয়েছেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং ২৩২৮)

বাস্তবতার বিচারে সেবক ও গৃহকর্মীরা নির্ভুল থাকে না। কখনো না কখনো ভুল করেই থাকে। কাজের ক্ষেত্রে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে থাকে। রাসুল (সা.) তাদের ভুল-ত্রুটিগুলোর দিকে নজর দিতেন না। বরং তাদের দুর্বলতাগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতেন।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, একলোক একবার রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলে, গৃহকর্মীদের আমরা আর কত ক্ষমা করবো তখন তিনি চুপ থাকেন। লোকটি আবার একই প্রশ্ন করে। এভাবে তিনবার প্রশ্ন করার পর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের দৈনিক সত্তর বার করে ক্ষমা করো। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৪৯৬)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সব ধরনের মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করার তাওফিক দান করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ