সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥
গতকাল জজ কোর্ট সংলগ্ন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জলাবদ্ধতা ও ভূমিদস্যু এবং অবৈধ্যভাবে ভাটা নির্মান বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ঐক্য-পরিষদের মানব বন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেতনা নদী বাচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি আবেদার রহমান ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সাতক্ষীরা উন্নয়ন যুব সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি কাজী আজাদুর রশিদ (বুলবুল) ও সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান (মফিজ) সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের সভাপতি কওছার আলী, সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আমরা সাতক্ষীরাবাসী ২০০০ সাল হতে সাতক্ষীরা জেলাসহ সদর উপজেলা বেতনা নদীর গাঁ ঘেষে ৪টি ইউনিয়ন তথা বল্লী, ঝাউডাঙ্গা, লাবসা ও ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৭০টির অধিক গ্রামে ১৫ হাজারের অধিক পরিবারের বসবাস। কিন্তু বেতনা নদীর দুই ধারে ভরাট হওয়ার ফলে ৪টি ইউনিয়নের ১০ হাজার পরিবার পানির তলায় নিমজ্জিত থাকে দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ মাস। তার ভিতর বেশি পানির নিচে থাকে বল্লী, রাজনগর, খেজুরডাঙ্গা, বিনেরপোতা বিসিক শিল্প নগরী, গোপীনাথপুর ঋশিল্পী, বিজিবি ক্যাম্প, পৌরসভার মাঠপাড়া এলাকাসহ অন্যান্য এলাকা। অত্র এলাকা পানির নিচে থাকার মূল কারন হলো বেতনা নদীসহ অন্যান্য নদী ভরাট হওয়া। আমরা জানি জেলা প্রসাশক মহোদয় নদী খননের জন্য নদীর পাশে ইটের ভাটা স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেন। কিন্তু প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা নদীর অভ্যন্তরে চর দখল করে নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করে নদীর পানি প্রবাহ সংকীর্ণ করিয়াছে। যার ফলে নদীতে বিলের পানি গ্রহন করতে পারে না। এমনকি চর দখল করে অবৈধভাবে বাড়ি-ঘর তৈরি, ভাটার ইট তৈরি করা হচ্ছে। সে কারনে ধীরে ধীরে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে মৎস্য ঘের করে নেট পাটা দিয়ে পানি যাতায়াত বাধাগ্রস্থ করছে। কালভার্টগুলো বন্ধ করে রাখার কারনে বিলের পানি নদীর সুইজ গেট পর্যন্ত পৌছাতে না। অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক প্রভাবশালীদের সনাক্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনার প্রতি ও আপনার সরকারের কাছে সদয় অনুরোধ জানাচ্ছি।