• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

গাজায় ফাঁদে ফেলে ইসরাইলি সৈন্যদের বন্দী করার দাবি হামাসের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড ইসরাইলের একদল সৈনিককে ফাঁদে ফেলে বন্দ করার দাবি করেছে। ফিলিস্তিনি গ্রুপটি একটি রেকর্ড করা অডিও বার্তায় এই দাবি করে। গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় তাদের বন্দী করা হয় বলে এতে জানানো হয়।

কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা অবশ্য কতজন ইসরাইলি সৈন্যকে বন্দী করা হয়েছে, সে তথ্য দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, ওই ইসরাইলি সৈন্যদলে যত সৈন্য ছিল তারা সবাই হয় নিহত বা আহত অথবা বন্দী হয়েছে। হামাস এ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এক ইসরাইলি সৈন্যকে টেনে হামাসের একটি সুড়ঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে।

উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়েছে। এখানে আগে থেকেই ইসরাইলি সৈন্যরা প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ছিল।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী অবশ্য হামাস যোদ্ধাদের হাতে তাদের সৈন্য আটক হওয়ার দাবি অস্বীকার করেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক্স পোস্টে জানায়, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্পষ্ট করছে যে তাদের কোনো সৈন্য অপহরণ বা দুর্ঘটনার শিকার হয়নি।’

‘ফাইটিং কম্পাউন্ড’ ব্যবহার করে তীব্র লড়াই করছে হামাস

গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ‘ফাইটিং কম্পাউন্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে তারা ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিভিন্ন ভবনের মধ্য দিয়ে দ্রুত এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। এতে করে আগের মতো তাদেরকে রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় তাদের দেখামাত্র ইসরাইলি হামলার যে শিকার হতো, তা থেকেও রক্ষা পাচ্ছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরাইলি বাহিনী ১১ মে থেকে জাবালিয়ায় যুদ্ধ করছে। তারা জানিয়েছে, এই এলাকার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজার অন্যান্য অংশের চেয়ে অনেক বেশি ‘সাহসী’ আর তারা এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ‘সবচেয়ে সহিংস’ভাবে লড়াই করছে। ইনস্টিটিউট ফর দি স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, জাবালিয়া দখল করার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে যে হামাস ‘সেখানে পরিকল্পিত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে’ এবং ইসরাইলি বাহিনীর ওপর তাদের ‘অস্বাভাবিক উচ্চ মাত্রার আক্রমণ’ প্রমাণ করেছ যে হামাস এখনো তাদের ‌’যুদ্ধ ক্ষমতা কার্যকর’ রাখতে পেরেছে। এমনকি অক্টোবরে তাদের জাবালিয়া কমান্ডার নিহত হওয়া সত্ত্বেও তারা দুর্বল হয়নি।

আইএসডব্লিউ/সিটিপি জানায়, ‘হামাস তার সামরিক শাখাকে প্রচলিত সামরিক বাহিনীর মতো সঙ্ঘবদ্ধ করেছে এবং তা পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ সামরিক কমান্ডারদের ব্যাপক বিকল্প তৈরী করেছে।’

তারা জানায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তীব্র চাপ সত্ত্বেও অব্যাহতভাবে যুদ্ধ করার জন্য হামাস এই প্রচলিত সামরিক কাঠামো ব্যবহার করছে।

সূত্র : আল জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ