চলতি বছর দ্বিতীয় বারের মতো পাকিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী। তবে এটি ছিল বন্দুক হামলা এবং এতে নিহত হয়েছেন ৪ জন পাকিস্তানি; আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বেলুচিস্তানের পাকিস্তান-ইরান সীমান্তবর্তী ওয়াশুক জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা। তেহরানের পক্ষ থেকে হামলা সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি; পাকিস্তানের সেনা বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীও এখন পর্যন্ত হামলার জবাবে পাল্টা হামলার পদক্ষেপ নেয়নি। ওয়াশুক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার নাঈম উমরানি জানিয়েছেন, হামলার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ইরান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পঞ্জগুর শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এতি নিহত হয় ২ জন শিশু, আহত হয় আরও তিন জন।
হামলার কারণ হিসেবে তেহরান বলেছিল, ইরানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ঘাঁটি রয়েছে পঞ্জগুর শহরে। সেই ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল।
সেই হামলার পর পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসলামাবাদ, এতে নিহত হয় শিশু ও নারীসহ ৭ জন। ইসলামাবাদ বলেছিল যে সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি ও বেলুচ লিবারেশন ফ্রন্টের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।
বিরল এই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে উত্তেজনা শুরু হয় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে। পরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যেগে সেই চাপ নিরসনও হয়।
দুই দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করতে গত এপ্রিলে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তান গিয়েছিলেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেই সফরে পাকিস্তানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়।
রাইসির সেই সফরের এক মাসের অল্প সময়ের মধ্যে এই হামলা ঘটল।