• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন

বাগেরহাট জেলা রেজিষ্ট্রার ফজলার রহমান বরখাস্ত

আপডেটঃ : বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৭

বাগেরহাট প্রতিনিধি ॥
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকার বনবিভাগের প্রায় ১০ একর জমি ভূয়া দাতা সাজিয়ে রেজিষ্ট্রির অভিযোগে আটক বাগেরহাট জেলা রেজিষ্টার ফজলার রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোঃ আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বরখাস্ত করা হয়। নিবন্ধন পরিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ তৈয়েবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভালুকায় বনবিভাগের প্রায় ১০ একর জমি ভূয়া দাতা সাজিয়ে রেজিষ্ট্রির অভিযোগে দায়ের করা পৃথক ৬টি মামলায় দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করায় ফজলার রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। ফজলার রহমান ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফুচিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে। গত ৩০ অক্টোবর বিকালে বাগেরহাট শহরের জেলা রেজিষ্টিারের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে এদিন বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী দুদকের ময়মনসিংহ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা রেজিষ্টার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ফজলার রহমান ভালুকা উপজেলার বনবিভাগের মালিকানাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৯.৬৪ একর জমির ভূয়া জমিদাতা, সনাক্তকারী ও দলিল লেখক সাজিয়ে এনটিভি ও রোজা এগ্রো লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালুর কাছে ছয়টি দলিলমূলে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা মূল্যে রেজিষ্ট্রি করে দেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু এই জমিটি তার রোজা এগ্রো লিমিটেডের নামে কিনেছেন। ফজলার রহমান এই কাজে তিনি স্থানীয় জমির ভূয়া মালিক, দলিল লেখক ও সনাক্তকারী হিসেবে মোট ১১ ব্যক্তিকে রেখেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুদক তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মেলায় দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে জেলা রেজিস্ট্রার ফজলার রহমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে অনুমতি চাওয়া হয়। ভালুকা থানায় পৃথক ছয়টি মামলার পর প্রধান আসামী জেলা রেজিষ্ট্রার ফজলার রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে বাগেরহাট জেলা রেজিষ্টার ফজলার রহমানকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ ওঠে। খোদ বাগেরহাট শহরতলীর গোবরদিয়া এলাকায় তার মামাতো ভাই নুরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামানের নামে প্রায় ৩০ একর জমি রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে। এই জমিতে একাধিক মৎস্য প্রকল্প ও গরুর খামার রয়েছে। “সাব-রেজিষ্টারের বাগান বাড়ি” খ্যাত এই জমির একটি অংশে সুতার মিল করার জন্য সম্প্রতি প্রায় অর্ধকোটি খরচ করে বালু ভরাট করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ