মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করতে রোববার দেশটি সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
৩১ মে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার নিশ্চিত করতে যথেষ্ট তৎপর না থাকার অভিযোগ রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বিরুদ্ধে।
নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করার পর মালয়েশিয়া যাচ্ছেন ভলকার তুর্ক। সেখানে তিনি কুয়ালালামপুর ও পুত্রজায়ায় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং মালয়েশিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। তিনি আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস, মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আইনজীবী, অভিবাসী ও শরণার্থী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
গত ২৬ মে জাতিসংঘের চার স্বাধীন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারকে পাঠানো একটি চিঠি প্রকাশ করে জানান, মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক অমানবিক পরিস্থিতিতে রয়েছেন। বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অপরাধী চক্রগুলো সক্রিয়। এই চক্রগুলো প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভুয়া কোম্পানিতে শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়। এর ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ঋণের চক্রে আটকা পড়েন।
অভিবাসী শ্রমিকদের শোষণের সঙ্গে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, রিক্রুটিং এজেন্সি ও সরকারি কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অনেক অভিবাসী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পৌঁছে প্রতিশ্রুত চাকরি পান না। এতে তারা ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও সেখানে থাকতে বাধ্য হন। ফলাফল হিসেবে শ্রমিকরা গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করার ঘটনা ঘটে।
মালয়েশিয়া সফর শেষে ভলকার তুর্ক লাওস সফরে যাবেন। এর মাঝে তিনি ব্যাংককে যাত্রাবিরতি করে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।