গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে। নারী, পুরুষ এমনকি ছোট ছোট শিশুরাও এসব হামলা থেকে বাঁচতে পারছে না। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। প্রায় সব স্থানেই হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
দক্ষিণ এবং মধ্য গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখান ইসরায়েলি বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে নারী, শিশু এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ত্রাণ সহায়তার কাজে নিয়োজিত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে, মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ শহরের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে তাদের স্থল বাহিনী প্রবেশ করেছে। এরপরেই সেখানে বেসামরিক হতাহতের খবর সামনে এলো।
এদিকে হামাস জানিয়েছে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি না দেবে তারা কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবে না। অপরদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শিশুসহ বহু মানুষ খাবারের অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সাত মাসের হামলায় সেখানে ৩৬ হাজার ৫৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৮২ হাজার ৯৫৯ জন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মধ্য গাজার মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে। এছাড়া দেইর আল বালাহ শহরে অবস্থিত আল আকসা হসপিটালের কাছে হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।