বিশ্বকাপে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি লঙ্কানরা। বিশেষ করে লেগ স্পিনার রিশাদের ঘূর্ণিতে ধস নামে লঙ্কান মিডল অর্ডারে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয়।
শনিবার (৮ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা।
উদ্বোধনী জুটিতে ২১ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৮ বলে ১০ রান করা কুশলকে আউট করেন এই পেসার।
এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন নিশাঙ্কা। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন এই লঙ্কান ওপেনার। তবে ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান।
দলীয় ৪৮ রানে ৫ বলে ৪ রান করা কামিন্দুকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপরও নিজের আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান নিশাঙ্কা। তবে দলীয় ৭০ রানে ২৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হন এই লঙ্কান ওপেনার।
নিশাঙ্কার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা। এরপর লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।
দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের মিডল অর্ডার গুড়িয়ে দেন এই টাইগার লেগ স্পিনার। আসালাঙ্কা ২১ বলে ১৯, ধানাঞ্জায়া ২৬ বলে ২১ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
১৫তম ওভারে রিশাদ হোসেন পরপর দুই বলে আউট করেন দুই লঙ্কান ব্যাটারকে। ওভারের প্রথম বলে চারিথ আসালঙ্কাকে সাকিবের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রিশাদ। ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আসালঙ্কা। পরের বলেই আউট হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। রিশাদের লেগস্পিন বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হাসারাঙ্গা।
এরপর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন। দলীয় ১১৭ রানে ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন দাসুন শানাকা। তার বিদায়ের পর পরই ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান মাহিশ থিকশানা।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। সমান ওভারে ৩ উইকেট নিতে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ।