বাজেট কমানো সংশ্লিষ্ট সংস্কার নিয়ে আর্জেন্টিনার রাজধানীতে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার (১২ জুন) রাতে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। ওই সময় তাদের সরিয়ে দিতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
তবে বিক্ষোভ স্বত্ত্বেও দেশটির আইনপ্রণেতারা এই বাজেট কমানোর সংস্কারেরর অনুমোদন দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, এই সংস্কারের কারণে লাখ লাখ আর্জেন্টাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সংস্কারের অনুমোদন ঠেকাতে পেট্রোল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া দুটি গাড়িতে আগুনও দেন তারা।
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই বিক্ষোভকে ‘রণক্ষেত্রের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
আর্জেন্টিনার ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এই সংস্কারের প্রস্তাব করেছেন। তিনি মূলত এরমাধ্যমে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে চাচ্ছেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হবে, সরকারি পেনসন ও শ্রম অধিকার কমিয়ে দেওয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট মিলেই-র এই সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধীতে করেছে দেশটির বিরোধীদল, শ্রম সংগঠন এবং সামাজিক সংস্থাগুলো।
বাজেট কমানোর এই সংস্কারটি আর্জেন্টিনার সিনেটে ৩৬-৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটির অনুমোদন করান।
তিনি ভোট দেওয়ার আগে বলেন, “যেসব আর্জেন্টাইন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যারা অপেক্ষা করছেন এবং যারা চান না তাদের সন্তানরা দেশ ছেড়ে চলে যাক… তাদের জন্য আমার ভোট হলো হ্যাঁ।”
৩২৮ ধারার এই সংস্কার প্রস্তাবটি এখন লাইন বাই লাইন পর্যালোচনা করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এই ধাপ শেষে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে যাবে এবং সেখানে আইনে পরিণত হবে।
গত এপ্রিলে প্রথমে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হয়। তবে এর আগে এটিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়।
২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়া মিলেই ক্ষমতা নিয়েই বলেছিলেন সরকারি ব্যয়ের ওপর করাত চালাবেন তিনি। আর করাত চালানোর অংশ হিসেবেই তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।