ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নিতে দেশটির অভ্যন্তরে ব্যাপক রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র সামরিক সংগঠনটি। খবর এএফপির।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মাধ্যমে যে যুদ্ধের সূচনা হয় এবং এর অংশ হিসেবে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল, বৃহস্পতিবারের নতুন করে চালানো বড় ধরনের এই হামলা সেসব ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, সশস্ত্র সংগঠনটির যোদ্ধারা ইসরায়েলের ছয়টি ব্যারাক এবং সামরিক স্থাপনায় রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরক বহনকারী ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে।
লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর, যেটিকে হিজবুল্লাহর কমান্ডারের ওপর হামলার জন্য দায়ী করে আসছে সশস্ত্র সংগঠনটি।
গত মঙ্গলবার তালেব আবদাল্লাহ নামের ওই সামরিক কমান্ডার ইসরায়েলি হামলার শিকার হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল বিকেলে ৪০টির মতো রকেট গালিলি ও গোলান মালভূমি এলাকা লক্ষ্য করে ছোড়া হয়, যেগুলোর বেশিরভাগই আকাশেই বিস্ফোরিত করা হয়। তবে এসব ঘটনায় কয়েকটি স্থানে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
হিজবুল্লাহর একটি হামলায় মানারা গ্রামের কাছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। এ ছাড়া আরও একজন সেনাসদস্য সামান্য আঘাত পান।
এদিকে, ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহর এই হামলার কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
অন্যদিকে লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলার জানাটা শহরের এক শিশু মারা গেছে এবং আরও সাতজন আহত হয়েছে।