• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার কামরুলের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা

আপডেটঃ : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি॥
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্টোর কিপার কামরুলের দূর্ণীতি ও অনিয়োমের অভিযোগে জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমান অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ষ্টোর কিপার দায়িত্বে থেকে কামরুল কে অপসারন করেন এবং অতিরিক্ত ওয়ার্ড মাস্টার ও ফার্মেসীসের দায়িত্বে বহল থাকে কিন্তু সেখানে তার দূর্নিতী ও অনিয়োমের অন্ত নেই। কিন্তু সাধারন মানুষ ও ভুক্ত ভুগীদের প্রত্যাশা ছিল নুতান সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমান এক জন সৎ কর্মকর্তা তিনি সকল দূর্নিতীর কবল থেকে এই হাসপাতালকে জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ও স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোর গোড়াই পৌছায় দেওয়ার জন্য তিনি একটি পরিচ্ছন্ন দূর্নিতী মুক্ত হাসপাতাল পরিচালনা করবেন। কিন্তু সে আসা পুরন হল না সাতক্ষীরা বাসীর, এব্যাপারে দূর্ণিতীবাজ ওয়ার্ড মাস্টার ও ফার্মেসীস কামরুলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তৌহীদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদ কে বলেন যেখানেই বদলী করিনা কেন যারা খারাপ ও দূর্নিতী বাজ সে অন্য জায়গায় যেয়েও করবে অতএব এদের কে বদলী করলেও ভাল সু-ফল পাওয়া যায় না, এবং তার এই দূর্নিতী অনিয়ম ও দির্ঘ্য দিন থেকে কিভাবে সে বহল থাকে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান, এবং তিনি বলেন আমার মিটিং আছে আমি ব্যাস্ত আছি এখন আর কথা বলতে পারব না। সেই একই ছবি নতুন কোন দৃর্শ্যমান দেখা যায়নি,হাসপাতালে ডুকলেই এ যানো নর্দমার ডাসবিন মেঝে গুলা প্রতিনিয়ত অপরিস্কার থাকে বিষেশ কোন কর্মকর্তার হাসপাতালের পদার্পন ছাড়া ধোয়া মোছা ও পরিস্কারের কাজ খুব বেশি চোখে পড়েনা। কে শোনে কার কথা এ যেন হরিলুটের বতাশা যখন যে কর্মকর্তা আসে প্রথম প্রথম দু এক দিন ভাল কাজ দেখিয়ে জনগনকে সন্তষ্ট রেখে পরবর্তিতে নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন বাংলায় একটা প্রবাদ আছে সর্ষ্যার মধ্যে ভূত,সিভিল সার্জনের কঠোর ভূমিকা না থাকায় তার কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারি ও দির্ঘ্য মেয়াদী এই হাসপাতালে চাকরি করার সুবাদে ঘুস ও দূর্নিতীতে জড়িয়ে পড়ছে। ঠিক তারই একটি দৃষ্টান্ত সাতক্ষীরা জেলায় জন্ম আগঁরদাড়ী  ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র তিনি দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে একটানা সাত/৭ বছরের অধিক সময় ফার্মেসিস ও ওয়ার্ড মাস্টারের পদে থেকে বহল তরিয়্যাতে একের পর এক দূর্নিতী করে তিনি কটিপতি বনেছেন, এদিকে     জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নিত্যদিনের অভিযোগ। সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলছে জোড়া তালি দিয়ে দায়সারা ভাবে। প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন রোগিরা। সরকারি বরাদ্ধকৃত ঔষধ সাধারন রোগীদের প্রাপ্য থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি ঔষুধগুলো পাওয়া যায় বিভিন্ন ফার্মেসী ও রিপ্রেজেনটেটিভ দের কাছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পরে ঔষধের স্লিপ নিয়ে কাউন্টারে জমা দিয়েও মিলছে না সরকারি বরাদ্ধকৃত ঔষধ। স্বরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে বের হলো ফার্মেসীস ও স্টোর কিপার কামরুলের দূর্ণীতি ও অনিয়মের থলের বিড়াল।  তিনি বিভিন্ন সময়ে যে সিভিল সার্জন আসুক‘না কেনো, তাকে তুষ্ট করে তার বদলি ঠেকানো এবং সকল অপকর্ম ধামাচাপা দিয়ে অবৈধ সুবিধা ভোগ করে চলেছেন। তার এসকল দূর্ণীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অশোভনীয় আচরন করেন ও সাংবাদিকদের তচ্ছুল্য করে উড়িয়ে দেন। তার এই দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগের দৈনিক জাতীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও তার কোন টনক নড়েনি। সে বহলতরিয়াতে তার কর্মস্থলে থেকে দুর্ণীতি ও অনিয়ম করে চলেছে। ইতে মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ১০০ গজ দুরে তিনি গড়ে তুলেছেন কোটি টাকা ব্যায়ের সাত/৭ তলা বিলাশ বহুল আলিসান বাড়ি, তার বাইরে রয়েছে কয়েকটি এসি গাড়ি। তথ্যানুসন্ধানে আরও পাওয়া যায় সে ডক্টর‘স ল্যাবের শেয়ার পার্টনার। ও তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন সহ নারী কেলেঙ্কারীরর অসংখ্য তথ্য অভিযোগ রয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি খুব দাম্ভিকতার সাথে ও প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসারের ন্যায় নিজেকে জাহীর করেন, ফলে তিনি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে তার এই আর্ত অহংকার, কথায় আছে ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার, তিনি কিভাবে অতি অল্প সময়ে তৃতীয় শেণীর কর্মচারী হয়ে গাড়ি বাড়ির মালিক হলেন জানা নেই কারও, তার এই দুর্ণীতির অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য, তিনি সাতক্ষীরার স্বস্থ্যসেবার সিভিল সার্জনের সদ্য বদলী প্রাপ্ত, প্রধান সহকারী জামায়াত নেতা আশিক নেওয়াজের যোগ সাজে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছে একের এক অনিয়ম ও দুর্ণীতি, লুটে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ফার্মেসীস ও ওয়ার্ড মাস্টার দায়িত্বে থাকা সদর হাসপাতালের  দূর্ণীতিবাজ কামরুল ইসলাম। তথ্যসূত্রে জানা যায়, তার আনুমানিক বেতন ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। উল্লেখ্য ফার্মেসীস ও ওয়ার্ড মাস্টার কামরুল সে একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী হয়ে কিভাবে সে কোটিপতি বনে গেছেন। ফার্মেসীস ও ওয়ার্ড মাস্টার কামরুলের অসংখ্য দুর্ণীতি ও কোটিপতি হওয়ার তথ্য নিয়ে আসছি আগামী পর্বে। চোখ রাখুন সংবাদ সংযোগের পাতায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ